বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রায়গঞ্জ পলিটেকনিকের ডিসিআরসিতে মহিলা ভোটকর্মীদের তৎপরতা চোখে পড়ে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, অনেকেই এবার প্রথমবার ভোটের ডিউটি করছেন। অনেকে অবশ্য আগেও বেশ কয়েকটি ভোটে ডিউটি করেছেন। এবারে পর্যাপ্ত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় তাঁরা কেউই খুব একটা আতঙ্কিত নন। বরং গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবে শামিল হতে পেরে মহিলা ভোটকর্মীদের চোখে মুখে খুশির ছাপ।
এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ ডিসিআরসি থেকে কাঠফাটা রোদের মধ্যেই একহাতে ইভিএম ও আর এক হাতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ‘পুলিস ট্যাগিং’ ক্যাম্পের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন চার মহিলা। তাঁরা একই বুথের।
ওই টিমের প্রিসাইডিং অফিসার শর্মিষ্ঠা ঘোষ রায়গঞ্জ শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহনবাটি পার্বতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা। তাঁর ভোটের ডিউটি পড়েছে ওই ওয়ার্ডেরই সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে। উত্সাহের সঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমবার ভোটের ডিউটি করতে যাচ্ছি। প্রিসাইডিং অফিসারের ডিউটি পড়েছে আমার। ভয় তো লাগছে না। বরং আমি ভীষণ উৎসাহিত।
ডিসিআরসিতে নিজের টিমের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন আর এক স্কুল শিক্ষিকা রিমা মুখোপাধ্যায়। কিছু জানতে চাওয়ার আগেই বললেন, আমি এর আগেও ভোটের ডিউটি করেছি। আমার ফার্স্ট পোলিং অফিসারের ডিউটি পড়েছে। প্রথমবারের মতো এবারও খুব উৎসাহিত তিনি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ৪৬ টি বুথে এবার মহিলা ভোটকর্মী থাকবেন। উত্তর দিনাজপুর জেলায় মহিলা বুথের সংখ্যা ৫০। এর মধ্যে শুধুমাত্র রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রেই মহিলা বুথের সংখ্যা সর্বাধিক, ২১ টি। প্রিসাইডিং অফিসার সহ ফার্স্ট পোলিং, সেকেন্ড পোলিং এবং থার্ড পোলিং মিলিয়ে একটি বুথে চার জন করে ভোটকর্মী থাকেন। অর্থাৎ রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ৫৬ টি বুথের জন্য মোট ১৮৪ জন ভোট কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও কুড়ি শতাংশ ভোটকর্মী রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়েছে।