কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
হরিরামপুর থানার বিশাল পুলিসবাহিনী আসে। আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেও তাঁরা ব্যর্থ হন। পরে হরিরামপুর ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এসে গ্রামে জল পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তাতেও অবরোধ তোলেননি মহিলারা। শেষমেশ চাপে পড়ে বালুরঘাট থেকে পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকরা জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে গ্রামে গেলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের মুখে পানীয় জলের দাবিতে পরপর দু’দিন পথ অবরোধ করেন গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচন চলায় গ্রামের মাৰ্ক-টু টিউবওয়েল ঠিক করতে পারছে না প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে পিএইচই-র জল পরিষেবা অনিয়মিত। জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল কাজ করছে না। জল না পেয়ে ভোগান্তি গ্রামে। পিএইচই পানীয় জল বন্ধ করে সেই জল জমিতে দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা টিঙ্কু মাহাতো বলেন, পাটন ও জগদলা এলাকায় দুটি গ্রামে কয়েকহাজার লোকের বাস। কিন্তু গ্রামে একটিও মাৰ্ক টু টিউবওয়েল ঠিক নেই। একমাত্র ভরসা পিএইচই’র পানীয় জল। গরমে জলের হাহাকার অবস্থা। রান্না, খাওয়ার জলের সংকট। সেই প্রতিবাদে মহিলারা রান্না, খাওয়া বন্ধ করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যসড়ক অবরোধ করে জলের ব্যবস্থা করেছেন। গণতন্ত্রের উৎসবের সময়ে সাধারণ মানুষ অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।
এ ব্যাপারে জেলা পিএইচই দপ্তরের আধিকারিক শুভব্রত কর বলেন, হরিরামপুরের বৈরাঠা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। পর্যাপ্ত পানীয় জল ট্যাঙ্কারে পাঠিয়েছি। গ্রামবাসী অভিযোগ করেছেন, পানীয় জলের পাইপ ফাটিয়ে জমিতে সেচের কাজ করায় গ্রামে জল যাচ্ছে না। বিষয়গুলি দ্রুত সমাধান করে পানীয় জলের সরবরাহ ঠিক রাখা হবে।