রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের স্ত্রী প্রতীকণা মল্লিক নাথুয়া ধাপিদেবী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। উপনির্বাচনের পর স্বামী ফের প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন তিনি। বিধানসভা উপনির্বাচনে স্বামী প্রার্থী হওয়ার পরই সমস্ত কাজ তিনি তদারকি করেছিলেন। এবার প্রচার ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেবিষয়ে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছেন তিনি। নিজের সময় করে প্রচারেও বেরিয়েছেন। বন্ধুবান্ধব থেকে নিকট আত্মীয়দের কাছে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধও করছেন। তুলে ধরছেন মুখমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথাও। উত্তরাখন্ড আন্দোলনের কর্ণধার পঞ্চানন মল্লিকের মেয়ে প্রীতিকণা। তাই ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই বামের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য স্বামীকে উৎসাহ দিতাম। তবে লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর স্বামীর জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিদায়ী সাংসদ এবং এবারের বিজেপি প্রার্থী ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়ের সহধর্মিনী দেবযানী রায় একজন গৃহবধূ। স্বামী রাজনীতি এবং সমাজসেবা কাজে যুক্ত থাকায় ঘর সামলানোর দায়িত্ব পুরোটাই ছিল তার কাঁধে। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে চিকিত্সক বানানোর পিছনে তাঁর অবদানের গুনগান করেন জয়ন্ত। লোকসভা নির্বাচনে স্বামীর জয়ের ব্যাপারে তিনি ঠাকুরের কাছে মানত রেখেছেন। ডাক্তারবাবুর জয়ের ব্যাপারে মোটেই চিন্তিত নন দেবযানী। তাঁর কথায়, চিকিত্সক হওয়ার পর থেকে আমার স্বামী মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবার যেভাবে প্রচার হয়েছে, তাতে গতবারের থেকেও এবার মার্জিন বেশি হবে। কারণ সাংসদ হিসেবে যথেষ্ট ভালো কাজ করেছেন।
এই দুই প্রার্থীর তুলনায় বয়সে অনেক তরুণ বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দেবরাজ বর্মন। বাম রাজনীতি করার সময় থেকেই তার সঙ্গে পরিচয় হয় শ্রীলেখা বিষ্ণুর। পরবর্তীতে চারহাত এক। একই ভাবাদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় বাম রাজনীতি ভালো বোঝেন বামপ্রার্থীর স্ত্রী। শ্রীলেখা জলপাইগুড়ির গান্ধী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। স্কুল সামলানোর পাশাপাশি লাল পতাকা হাতে স্বামীর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখা বলেন, কলেজ জীবন থেকেই ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে। এবার সেই সাধারণ মানুষই দু’হাত তুলে দেবরাজকে আশীর্বাদ করবে।