গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মফিজউদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর সাগর হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক তাজমুল হকদের কথায়, পিছিয়ে পড়া এই ব্লকে ডিগ্রি কলেজ দরকার। সরকার কলেজ করলে এলাকাবাসী জায়গা দিতে তৈরি।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর এইসব এলাকার পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে ছুটতে হয়। স্থানীয়দের দাবি, স্বাস্থ্য পরিষেবাতেও উন্নতির লক্ষণ নেই। ভোট এলেই বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীরা এলাকায় আসেন। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাঁদের আর দেখা পাওয়া যায় না। তাই যে দলই জিতুক, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে ডিগ্রি কলেজ গড়ার উদ্যোগ নিক।
এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মন্তব্য, রাজ্য সরকারের আমলে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা বেহাল। এই ব্লকে একটি ডিগ্রি কলেজ দরকার।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে ১৪টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতি বছর এই এলাকার পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলা বা মহকুমা সদর বা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কলেজে যেতে হয়। ব্লকের বিহার সীমান্ত লাগোয়া ইসলামপুর, সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ছাত্রীদের কলেজ যেতে খুবই সমস্যা। এই এলাকা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি। চাঁচল বা সামসি কলেজের দূরত্ব প্রায় দ্বিগুণ। ব্লকের জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসা থেকে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে ওয়াহিদা খাতুন, সাহিদা খাতুন। তাদের কথায়, বাইরে থেকে পড়াশোনা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমাদের পরিবারের নেই। এই ব্লকে একটি ডিগ্রি কলেজ হলে আমরা বাড়ি থেকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতাম।
উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলমের মন্তব্য, ব্লকে ডিগ্রি কলেজ গড়ার দাবি যুক্তিসঙ্গত। রাজ্য সরকারের উচিত এই বিষয়ে নজর দেওয়া।
দাবি প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করব।