বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের অরুণ ঘোষ, তৃণমূলের নকশালবাড়ি-২ ব্লক সভাপতি পৃথ্বীশ রায়, নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের রাধাগোবিন্দ ঘোষ, সিটু নেতা গৌতম ঘোষ, সিপিএমের নকশালবাড়ি এরিয়া কমিটির সম্পাদক মাধব সরকার প্রমুখ রেলের এই কাজের তীব্র সমালোচনা করে বিক্ষোভ দেখান।
অরুণবাবু বলেন, অনেকগুলি স্কুলের ছাত্রছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। রেল লেভেল ক্রসিংটি বন্ধ করে দিলে টোটো, অটো নিয়ে চলাচল করতে ওদের অসুবিধা হবে। যদিও এদিন সকলে বিরোধিতা করায় রেল পিছিয়ে গিয়েছে।
নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা রাধাগোবিন্দ ঘোষ বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেলকে করে দিতে হবে তারপরেই ওই রাস্তাটি বন্ধ করতে দেওয়া হবে। ফ্লাইওভার চড়ার সিঁড়ি বয়স্করা ব্যবহার করতে পারবে না। এতে তাঁদের সমস্যা বাড়বে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিতি রেলের আধিকারিকরা এই ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করতে চাননি। তবে সেখানে উপস্থিত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পথচারী, মোটর বাইক, রিকশ ও ভ্যান চলাচলের জন্য চারফুট জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। আন্ডারপাস করা যায় কি না তা ওপর মহলে আলোচনা করে জানানো হবে বলে ওই আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
শিলিগুড়ি থেকে পানিট্যাঙ্কি হয়ে নেপালগামী এই জাতীয় সড়কের উপর নকশালবাড়ির শান্তিনগরে দীর্ঘদিন আগে রেল এই লেভেল ক্রসিংটি তৈরি করেছিল। নিয়মিত এই রুটে ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন এলে গেট নামানো হয়। প্রতিদিন কয়েক হাজার ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। বছর খানেক আগে এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ খালপাড়া মোড় থেকে সাতভাইয়া পর্যন্ত প্রায় এককিমি দীর্ঘ ফ্লাইওভার বানিয়ে সেটি খুলে দেয়। ছোট যানবাহন যাতে নীচ দিয়েই যেতে পারে সেজন্য ফ্লাইওভারের নীচের দিকে ওই অংশের সড়কের মেরামত করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিয়ার ডিভিশন জাতীয় সড়কের উপর থাকা লেভেল ক্রসিংটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন কাটিয়ার ডিভিশনের আধিকারিকরা লেভেল ক্রসিংটি বন্ধ করতে এলেই বাসিন্দারা সরব হন। তৃণমূল ও সিপিএমের স্থানীয় নেতারাও জনগণের সমস্যার কথা ভেবে রেলের এই কাজের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এশিয়ান হাইওয়েতে ওঠার জন্য লেভেল ক্রসিংয়ের দু’পাশে যে সিঁড়ি রয়েছে তা যথেষ্টই খাঁড়া। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ রেল সেটি বন্ধ করার কাজ করতে আসে। এতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথমে তৃণমূলের লোকজন এসে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে সিপিএমও ওই আন্দোলনে শামিল হয়। পরিস্থিতি বেগতিক হতে দেখে নকশালবাড়ি বিডিও বাপি ধর, পুলিসের নকশালবাড়ি সার্কেলের ইন্সপেক্টর স্বপনকুমার সরকার, নকশালবাড়ি থানার ওসি সুজিত দাস চলে আসেন।