কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
শুক্রবার বোল্লাকালী পুজো উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী জেলা ও ভিন রাজ্যের প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। অধিকাংশ ভক্তই ভাড়া গাড়ি করে পুজো দিতে আসে। যেই গাড়িগুলি মেলার প্রবেশ পথের আগে পার্কিংয়ে রাখার ব্যবস্থা ছিল। তবে হঠাৎ রাত ১২টার পরে বালুরঘাট-গাজোল ৫১২ নম্বর সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যে পর্যন্ত এই যানজট অব্যাহত ছিল। বোল্লা থেকে বালুরঘাট আসার পথে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। বোল্লা থেকে বুনিয়াদপুর যাওয়ার পথে আরও বেশি যানজট লাগে। অনেকে দূর দূরান্ত থেকে গাড়ি নিয়ে এসে রাস্তার ধারে গাড়ি রেখে ঘুমিয়ে যান। এতে আরও যানজট বাড়ে। সেখানে বীভৎস যানজট তৈরি হলেও পুলিসকে রাস্তায় দেখা যায়নি বলেই অধিকাংশ দর্শানার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এতো পুলিস মোতায়েনের পরেও কেন এমন যানজট সৃষ্টি হল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। পর্যাপ্ত পুলিস ছিল। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে। যে পরিমানে যানবাহন এসেছে, এখানে সেইমতো পার্কিংয়ের জায়গা নেই। অনেকে রাস্তার ধারে গাড়ি রেখে চলে গিয়েছে। এতে আমাদের সমস্যা বেড়েছে।
উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত সুপ্রাচীন বোল্লা মেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে লক্ষাধিক দর্শনার্থী সমাগম ঘটে। রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের দর্শনার্থীরা পুজো দিতে সকাল থেকে জেলার একাধিক হোটেল আশ্রয় নেন। অধিকাংশ দর্শনার্থী পুজো দিয়ে ভাড়া গাড়ি অথবা মোটর বাইক নিয়ে এসে পার্কিংয়ে রেখে সুষ্ঠুভাবে পুজো দিয়ে ভিড় ঠেলে জাতীয় সড়কে পৌঁছলেও যানবাহনের যানজটের কারণে চরম সমস্যায় পড়েন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে যানজট লেগেছিল। দূরপাল্লার যানবাহনগুলি তপন রুট দিয়ে যাতায়াত করে।
এদিকে বোল্লাকালীর পুজো উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পাঁঠা বলি শুরু হয়। মায়ের কাছে বলি মানত করা কয়েক হাজার ভক্ত গভীর রাত পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এদিন পুজো দিতে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ, সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার, কোচবিহারের প্রাক্তন সংসাদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায়, পুলিস সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধায়, প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তী ছাড়াও অনেকে। শনিবার সকাল পর্যন্ত পাঁঠা বলি চলে। মেলা চত্বরে নাগরদোলা, মোটর বাইকের নানা বিপজ্জনক খেলা, ব্রেকড্যান্স, যাত্রার আসরে ভিড় উপচে পড়ে।