শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি জেলা স্তরে প্রত্যেক দলের জেলা সভাপতিদের নিয়ে শান্তি বৈঠক ডাকা উচিত। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশাসনকে কথা দেবেন নিজের দলকে নিয়ন্ত্রণ করার। শান্তি বৈঠকে যাঁদের ডাকা হচ্ছে তাঁদের বেশির ভাগেরই কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এলাকা ভিত্তিক, হাটে বাজারে বৈঠক করে খুব একটা কাজ হবে না। শান্তি বৈঠকে তাঁদেরই ডাকা উচিত যাঁদের দল ও মানুষের উপরে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, আস্থা রয়েছে, দায়িত্ব বোধ রয়েছে। ডালপালাদের ডেকে কোনও লাভ নেই।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, আগে কোচবিহারে বোমাবাজি হয়নি। ২৩ মে থেকে আজ পর্যন্ত আমরা যত দিন চুপচাপ ছিলাম তখন কিছু হয়নি। এখন আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার চেষ্টা করছি। তাই আমাদের উপরে বোমা, অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে। ওরা গণতন্ত্র মানছে না। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, যাদের হাতে বোমা বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে তাদের শানাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছি। যতই শান্তি বৈঠক হোক বিজেপি চাইছে না কোচবিহার শান্ত থাক। আমরা শান্তির পক্ষে। শুধু জেলায় শান্তি বৈঠক করলেই হবে না। সেটাকে নামিয়ে আনতে হবে বুথ স্তরেও। যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে সেখানে বাড়তি নজর রাখতে হবে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা রায় বলেন, ব্লক স্তরে যেসব শান্তি বৈঠক হচ্ছে সেগুলি আসলে নাটক হচ্ছে। আমরা চাই জেলা স্তরে শান্তি বৈঠক হোক। প্রশাসন ও বহিরাগতদের নিয়ে তৃণমূল এলাকা পুনর্দখল করছে। ওরাই পরিবেশ অশান্ত করছে।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে কোচবিহার জেলায় একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটেই চলেছে। ধারাবাহিকভাবে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণে কোচবিহার জেলার বহু এলাকাতেই অশান্তি ও আতঙ্কের বাতাররণ তৈরি হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূলের বহু সমর্থক আহত হয়েছেন। এলাকায় এলাকায় বোমা পড়ছে, গুলিও চলছে। এমনকী পুলিসের গাড়িতেও হামলা হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই প্রশাসনের উদ্যোগে বেশকিছু এলাকায় শান্তি বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গাতেই প্রশাসনের শান্তি বৈঠক হওয়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবারও রাজনৈতিক সংঘর্ষ, মারপিটের মতো ঘটনা ঘটেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারে শাসক দলের অন্দরে নানা টানাপোড়েন থাকলেও রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা তেমন ঘটেনি। কিন্তু বর্তমানে তা নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের একাংশ নেতা মনে করছেন জেলা স্তরে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠক ডাকা প্রয়োজন। সেখানে সব দলের জেলা সভাপতিরা উপস্থিত থাকবেন। যেসমস্ত নেতাদের দলের প্রতি, এলাকার মানুষের উপরে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাঁদের মাধ্যমে শান্তির বার্তা যাওয়া প্রয়োজন। যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবার এলাকায় এলাকায় শান্তি বৈঠকের উপরেই জোর দিচ্ছেন। বিজেপি অবশ্য মন্ত্রীর সুরেই জেলা স্তরের শান্তি বৈঠক ডাকার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।