বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইসলামপুরের ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র দামোদর আগারওয়াল বলেন, বাজার এলাকায় যানজটের সমস্যা আছে। পুজোর মরশুম চলছে তাই এখন আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে। সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বিভিন্ন দোকানের সামনে পার্কিং, রাস্তার উপর দোকান, নোংরা আবর্জনায়, রাস্তায় নির্মান সামগ্রী ফেলে রাখছে অনেকেই। কিন্তু এখনও পুরপ্রশাসন এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না। পুজোর সামনে পুর প্রশাসনকে যানজট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করা উচিত। এনিয়ে ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, এনিয়ে পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব। যাতে পুলিস কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে যানজটের মোকাবিলা করা যায়।
ইসলামপুর শহরের কংগ্রেস রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড, বর্তনপট্টি, খোকাশেঠ মোড়, বাটা চক, সব্জিবাজার সংলগ্ন রাস্তা, এমজি রোড, নেতাজি সুভাষ রোড সহ সর্বত্রই যানজট লেগে থাকে। অনেকে ত্রিপল টাঙ্গিয়ে রাস্তার উপরেই দোকান বসায়। টোটো, ছোটগাড়ি ওই রাস্তাগুলিতে ব্যস্ত সময়ে অবাধে চলাচল করে। এতে পরিস্থিতি অরও জটিল হয়। স্কুল ও অফিস টাইমে সমস্যা আরও তীব্র আকার নেয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর প্রশাসন বহু আগে দুই একবার নামেমাত্র অভিযানে নেমেছিল। কিন্তু সমস্যার স্থায়ী সমাধানে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ করেনি। পুজোর কেনাকাটার মরশুমে এই সমস্য আরও ব্যাপক আকার নেবে। পুর প্রশাসন উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। যানবাহন নিয়ন্ত্রণের সঠিক কোনও পরিকল্পনাই নেই। ক্রেতারাও জিনিস কিনতে এসে রাস্তায় সাইকেল কিংবা মোটর বাইক রাখে। একটি সাইকেল, বাইক পার্কিং করার স্ট্যান্ড তৈরির দাবি বিভিন্ন মহল থেকেই উঠেছে। নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং হলে সমস্যা কিছুটা কমবে। স্কুল কলেজ ও অফিস টাইমে বাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা উচিত। পুজোর মরশুমে ইসলামপুর মহকুমার চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া ব্লকের গ্রামাঞ্চল থেকে প্রচুর মানুষ কেনাকাটা করতে শহরে আসে। সেই সঙ্গে শহরের মানুষের চাপও আছে। ফলে যানজটের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ যাতে শান্তিতে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য পুর প্রশাসনকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে।