বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বালি মাফিয়াদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নাগর নদী থেকে বছরের পর বছর একইভাবে বালি চুরি চলছে। এর পিছনে শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের মদত রয়েছে। বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেলেই আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। অবাধে বালি তোলার ফলে গ্রাম লাগোয়া নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এজন্য আমরা বড় ক্ষতির আশঙ্কায় আছি।
সিপিএম থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগদান করা স্থানীয় বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ওই এলাকার এমন কাজের বিষয়টি আগেও শুনেছি। শাসক দলের মদতেই এই কাজ বছরের পর বছর হয়ে আসছে। কাটমানির বিনিময়ে এমন কাজের অনুমতি দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। সমস্ত অবৈধ কাজটি দিনের আলোতে হলেও প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করে না। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা পূর্ণেন্দু দে বলেন, বালি মাফিয়ারা কোনও দলের হয় না। আমাদের দলেও কোনও বালি মাফিয়ার জায়গা নেই। আমি ওই এলাকায় মাঝেমধ্যেই যাই। তবে এমন অভিযোগ এখনও কেউ করেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার জন্য আমি যত দ্রুত সম্ভব ভূমি ও ভুমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব। রায়গঞ্জ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রাজীব গোস্বামী বলেন, আমাদের কাছে এমন অভিযোগ এখনও এসে পৌঁছয়নি। তবে আমার কাছে অভিযোগ এলেই পদক্ষেপ করব। আমি নতুন এসেছি, বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
রায়গঞ্জ ব্লকের হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকার ২ নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁড়ি জগদীশপুর এলাকায় দিনের পর দিন নাগর নদী থেকে বালি চুরির ঘটনা ঘটছে। অত্যাধুনিক পাম্পসেট ব্যবহার করে নদী থেকে বালি তোলা হয়। সেই বালি পরে ট্রাক্টর ও ডাম্পারে ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চড়া দামে দেগুলি বিক্রি হচ্ছে সেগুলি। অথচ সরকার এথেকে কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী থেকে যেভাবে বালি তোলা হয় তা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অবৈজ্ঞানিক। দিনের পর দিন এভাবে বালি তোলার কারণে গ্রাম সংলগ্ন নদীবাঁধের ক্ষতি হচ্ছে। যদি এভাবেই কাজ চলতে থাকে তবে আগামীতে বেশি বৃষ্টি হলে বাঁধ ভেঙে গ্রাম ভেসে যেতে পারে।