বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এবিষয়ে ট্রাফিক ওসি জাকারিয়া আলি বলেন, শহরে কত টোটো চলবে সেটা ঠিক করার দায়িত্ব পুরসভা ও পরিবহণ দপ্তরের। যানজটের দিকটি আমরা লক্ষ্য রাখছি। এনিয়ে পুরসভার প্রশাসক তথা মহকুমা শাসক কৃষ্ণাভ ঘোষকে ফোন করা হলে, শনিবার ছুটির দিনে কোনও কথা বলব না বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বক্সা ফিডার রোড, আলিপুরদুয়ার-কুমারগ্রামদুয়ার রোড ও আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার রোড শহরের লাইফ লাইন এই তিনটি ব্যস্ত রাস্তায় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো। কোনও নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড না থাকায় যাত্রী তোলা বা নামানোর জন্য টোটোগুলি ব্যস্ত রাস্তায় যত্রতত্র দাঁড়িয়ে পড়ছে। এতে শহরবাসীর বিরক্তি আর যন্ত্রণার শেষ নেই। সেখানে যানজট লেগে শহরের গতিই কমে গিয়েছে।
পাশাপাশি দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে শহরের নিউ আলিপুরদুয়ার ও বক্সা ফিডার রোড সংযোগকারী মহাকাল ধাম মোড়, শহরের বাণিজ্যিক এলাকা চৌপথি, মায়া টকিজ রোড ও বক্সা ফিডার রোডের কোর্ট মোড় প্রভৃতি এলাকা। টোটোর দৌরাত্ম্যে বক্সা ফিডার রোডে ট্রান্সপোর্ট মোড় ও আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার রোডে বাটা মোড়, বড়বাজার এলাকা ও কালজানি সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত বিভীষিকা হয়ে উঠেছে শহরবাসীর কাছে। বাসিন্দারা বলেন, গ্রাম থেকে আসা টোটোগুলি শহরের এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলেছে।
এদিকে শহরে বর্তমানে কত টোটো চলছে প্রশাসনের কাছে তার নির্দিষ্ট কোনও পরিসংখ্যানই নেই। তবে টোটো চালক ইউনিয়নগুলি ও পুরসভার পুরনো রেকর্ড থেকে জানা গিয়েছে এই মুহূর্তে শহরে নথিভূক্ত টোটোর সংখ্যাপ্রয় দু’হাজার। গ্রাম থেকে শহরে ঢুকছে আরও আড়াই হাজারের মতো টোটো। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ডুয়ার্স টোটো ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, টোটোর জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড থাকলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। বহিরাগত টোটো চিহ্নিত করতে আমরা দ্রুত টোটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর দাবি করছি। কিন্তু প্রশাসন কিছুই করছে না।
আলিপুরদুয়ার জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক প্রবীণ লামা অবশ্য বলেন, শহরে টোটোর দৌরাত্ম্যের জন্য নানা মহল থেকেই অভিযোগ আসছে। টোটোর সংখ্যায় লাগাম টানতে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন নম্বর চালুর চেষ্টা চলছে।