বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রতুয়া থানার ওসি কুণালকান্তি দাস বলেন, মহানন্দটোলা পুলিস ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় আমাদের অভিযান থেমে নেই। আমরা মূল অভিযুক্ত হামলার মাস্টারমাইন্ড এক পুলিস কর্মীকে খুঁজছি। তাকে গ্রেপ্তার করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ইতিমধ্যে ২২ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকি অভিযুক্তদের খুঁজে বের করে আমরা আইনি পদক্ষেপ করব। স্থানীয় মহিলা ফুলমণি মণ্ডল বলেন, দিনে রাতে পুলিস আসা যাওয়া করছে। এজন্য আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। এমনিতে ভয়ে পুরুষরা বাড়িঘরে থাকে না। পুলিস যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই তুলে নিয়ে যাচ্ছে। রাতে আমরা মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, গ্রামে অনেক গণ্ডগোল দেখেছি। কিন্তু পুলিসের উপর আক্রমণ, ফাঁড়ি ভাঙচুরের মতো হিংসার ঘটনা ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই অনেকে গ্রেপ্তারি এড়াতে বাড়িছাড়া রয়েছে। আমরাও আতঙ্কে দোকানদারি করছি। ঘটনার পর থেকে লোকজন বাজারে কম আসায় আমাদের ব্যবসাও মার খাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ আগস্ট রতুয়ার হাটপাড়া জগবন্ধুটোলা গ্রামের বাসিন্দা পরিমল মণ্ডলের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় গ্রামবাসীদের একাংশ মহানন্দটোলা পুলিস ফাঁড়িতে মৃতদেহ নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে ফাঁড়িতে ভাঙচুর এবং পুলিসের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এনিয়ে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নিলে পুলিস কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করে এপর্যন্ত মহিলা সহ ২১ জনকে রতুয়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। যদিও ঘটনার মূল পাণ্ডা কলকাতা পুলিসের এক কর্মী এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এজন্য ১৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাককাটি ঘাটের সেতুতে ওঠার মুখে পুলিস পিকেট বসেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তদের ধরতে মহানন্দটোলা, ছবিটোলা, হাটপাড়া জগবন্ধুটোলায় পুলিসি অভিযান চলছে। ভয়ে গ্রামবাসীরা সিঁটিয়ে রয়েছেন। এলাকার দোকানপাট থেকে শুরু করে বাড়িঘর অনেক জায়গাতেই তালা ঝুলছে। অপরিচিত তো বটেই এলাকার লোকজনও বিশেষ বেরচ্ছেন না। ফলে মহানন্দ টোলা এলাকার কিছু গ্রাম কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে গবাদিপশু, শিশু ও মহিলাদের ছাড়া আর কারও দেখা মিলছে না। জনপদগুলি কার্যত জনশূন্য হয়ে পড়েছে।