বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত সরকার বলেন, এদিন আমাদের বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা খেতে ও চা বাগানের মধ্যে জমিতে একাধিক বড় বড় পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। আমাদের ধারণা এটা চিতাবাঘের পায়ের ছাপ। এদিন সকালে ওই চা বাগান এলাকায় কাজ করার জন্য প্রচুর লোক ওই ভুট্টা ও চা বাগান সংলগ্ন মাঠ দিয়ে যাওয়ার পথে ওই পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। লাঠিসোঁটা হাতে এলাকার লোকজন ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু চিতাবাঘের দেখা পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা ওই চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘ রয়েছে। বনদপ্তরের রামশাই মোবাইল রেঞ্জের বিট অফিসার ভূপতি শীল বলেন, ঘটনাটি শুনলাম, তবে পায়ের ছাপ ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। আমরা প্রয়োজনে ওই এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজন হলে ওই এলাকায় খাঁচা পাতা হবে। দেখছি কী করা যায়।
এদিকে এদিন এই ঘটনার পর পশ্চিম হারমতি গ্রামে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। লোকজন চিতাবাঘের ভয়ে জমিতে কাজ করতে যাননি। অনেকেই ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। বাসিন্দাদের দাবি, বনদপ্তরের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এলাকায় খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হোক। গ্রামে লোকজন তাদের বাচ্চাদের নিয়ে ঘর থেকে বের হতেই ভয় পাচ্ছেন। অনেক পড়ুয়া প্রাইভেট টিউশনে পর্যন্ত যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, বেশকিছু দিন ধরে ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় চিতাবাঘের দাপাদাপি ঘিরে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাগুড়ি গ্রামীণ এলাকা ছাড়াও ব্লক সদরেও চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ময়নাগুড়ির ব্যাঙকান্দি, মরিচবাড়ি, দক্ষিণ মৌয়ামারি এলাকায় চিতাবাঘের আক্রমণে কয়েক জন আক্রান্তও হয়েছেন। বন দপ্তরে ময়নাগুড়ির একাধিক জায়গায় খাঁচা পাতার পরেও সেই খাঁচায় চিতাবাঘ বন্দি হয়নি। তবে ব্যাঙকান্দি ও মরিচবাড়ি এলাকায় বন দপ্তর ঘুমপাড়ানি গুলি করে দুটি চিতাবাঘকে আটক করতে পেরেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দু’টি চিতাবাঘ ধরা পড়লেও এখন কয়েকটি চিতাবাঘ এলাকায় দাপিয়ে বেরাচ্ছে।