বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এনিয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, দেরিতে প্রার্থী দেওয়া আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশের ব্যাপার নয়। এটা আমাদের দলের কৌশল। প্রার্থী নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমরা রিপোর্ট নিয়েছি। কী ধরনের প্রার্থী হলে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে সেব্যাপারেই আমরা জোর দিয়েছি। আমাদের বুথে নির্বচন কমিটি থাকে না। একটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন ধরে একটি শক্তি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সাত-আটটি বুথ মিলে একটি শক্তি কেন্দ্র গড়া হয়েছে। গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া এবং করণদিঘি ব্লকের কয়েকটি এলাকা আছে যেখানে আমাদের বুথ কমিটি নেই। কিন্তু সেসব এলাকায় আমাদের এক-দু’জন করে সদস্য আছেন। তাদের সঙ্গে পাশের বুথে যুক্ত করা হবে। আশা করছি, সমস্ত বুথেই আমাদের পোলিং এজেন্ট থাকবে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, আগে প্রার্থী ঘোষণা করলেই দল অনেক এগিয়ে গেল তা নয়। বিজেপি এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি বলেই মানুষের মনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি মানুষ জানতে চাইছে বিজেপি’র প্রার্থী কে? আমাদের প্রচার চলছে। এটাই আমাদের প্রচারের নয়া কৌশল। আমাদের ৫৪৩টি আসনে একজনই প্রার্থী, তিনি হলেন নরেন্দ্রে মোদি। কিছু জায়গায় আমাদের বুথ কমিটি নেই এটা বাস্তব। যেখানে যেখানে আমাদের বুথ কমিটি নেই সেখানে বডথ প্রভারী দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলের চাপে পড়ে যদি বুথে পোলিং এজেন্ট না দিতে পারা যায় তাহলেও বিজেপির কর্মীরা ওই বুথ প্রভারীরা আন্ডারগ্রাউন্ড প্রচার চালাবে। আমাদের ৮০ শতাংশ আসনে বুথ কমিটি আছে। প্রার্থী ঘোষণার পরে বাকি বুথে কমিটি গঠন হয়ে যাবে।
বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বচনে জেলায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হওয়ার পরে বিজেপি রায়গঞ্জ কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হতেই দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দফায় দফায় জেলায় এসেছে। কয়েক মাস আগে থেকেই আসনটির জন্য তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তারা বার বার বলছে রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি এবার তারা দখলে আনবে। কিন্তু জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সবদলই তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। বিজেপি সেভাবে প্রচারেই নামতে পারেনি। বুথে বুথে এখনও কমিটি গঠন হয়নি। এমনকী ভোটের দিন তারা সব জায়গায় পোলিং এজেন্ট দিতে পারবে কি না সেনিয়েও তাদের সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় লোকসভা নির্বাচনের মতো বড় নির্বাচনী প্রচারের কাজে তারা কতটা প্রভাব বিস্তার করে সেটাই এখন দেখার বিষয়ে হয়ে উঠেছে। কারণ, রাজনীতির পরিভাষায় ভোট করাতে হয়। সেই মেশিনারি রাখতে হয়। এসব কাজে বিজেপি এখনও পিছিয়ে রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও দলের দাবি, তারা সর্বভারতীয় দল। ভোট করানোর কৌশল তাদের জানা আছে।