বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
ইসলামপুর টাউন মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব পেয়েছেন রীনা দাস পাল এবং ব্লকের দায়িত্ব পেয়েছে জিনাত আরফিন। উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি নার্গিস খাতুন তাঁদের ওই দায়িত্ব দিয়েছেন। রীনা দাস পাল বলেন, ১ ফেব্রয়ারি আমি দায়িত্ব পেয়েছি। রাজনৈতিক দলে মহিলা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন আছে। তাই এখন থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করার কাজ শুরু করব।
মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নার্গিস খাতুন বলেন, ইসলামপুরে আমাদের সংগঠন মজবুত ছিল। এখন কিছুট দুর্বল রয়েছে। তবে আমরা আগের জায়গায় শীঘ্রই পৌঁছব। শহর ও ব্লক কমিটির সভাপতি পদে দু’জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করবেন। কর্মসূচি স্থির করে ময়দানে ঝাঁপাবেন।
কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, জানুয়ারি মাসের শুরুতে ইসলামপুরে আমরা বৈঠক করেছিলাম। সিংহভাগ অঞ্চলে কমিটি তৈরি হয়েছে। শাখা সংগঠনগুলিও মজবুত করার কাজ চলছে। যেখানে কমিটি ভাঙা আছে সেখানে নতুন করে কমিটি করা হচ্ছে।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময়ে ইসলামপুরে তাদের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত ছিল। কংগ্রেসের টিকিটে চারবার পুরসভার চেয়ারম্যান হন বর্তমান বিধায়ক তথা পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল। বিধায়ক হওয়ার পরে তিনি দলবদল করে তৃণমূলে চলে যান। তাঁর সঙ্গে অনেক কংগ্রেস কর্মীও তৃণমূলে নাম লেখান। ধীরে ধীরে ইসলামপুরে কংগ্রেসের সংগঠন ভেঙে যায়। শাখা সংগঠনের কর্মীরাও দল ছাড়তে শুরু করেন। ফলে গত কয়েক বছরে ইসলামপুর মহকুমায় কংগ্রেস অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। কংগ্রেস দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকে ১৩টি অঞ্চলের মধ্যে ১০টি অঞ্চলে সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। বাকি তিনটি অঞ্চলে সভাপতি নির্বাচন এরমধ্যেই হবে। অঞ্চল সভাপতিরা বুথ কমিটি তৈরি করবেন। মহিলা কংগ্রেসের সভাপতিরা ওয়ার্ড এবং অঞ্চল কমিটি গঠন করবেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দল বলছে, ইসলামপুরে কংগ্রেসের অবস্থা খুবই খারাপ। এখনও পর্যন্ত তারা প্রতিটি অঞ্চল ও বুথে কমিটি গঠন করতে পারেনি। শাখা সংগঠনগুলির অবস্থা আরও দুর্বল হয়ে আছে। কংগ্রেস অবশ্য সেটা পুরোপুরি অস্বীকার করেনি। তারা তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত শাখা সংগঠন, অঞ্চল ও বুথ কমিটি তৈরির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।