বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুরের কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পের মাধ্যমে রবি ও খরিফ শস্য চাষের মরসুমে কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। যাঁদের এক একর বা তাঁর বেশি জমি আছে তাঁরা বছরে দু’বার ২৫০০ টাকা করে মোট ৫০০০ টাকা পাবেন। অন্যদিকে যাঁদের এক একরের কম জমি আছে তাঁরা ১০০০ করে বছরে ২০০০ টাকা পাবেন। গত এক মাসেরও কম সময়ে জেলার ১১ হাজার কৃষক তাঁদের নাম প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমরা প্রথম দফায় ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার চেক ২৬২ জন কৃষককে দিয়েছি। বাকি কৃষকদেরও প্রকল্পের চেক এরমধ্যে তুলে দেব।
কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, জেলার আটটি ব্লকের দু’টি করে মৌজায় কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পে নাম তোলা হচ্ছে। মাটির কথা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফর্ম পূরণের কাজ চলছে। এক্ষেত্রে ভূমিদপ্তরের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের জমির দাগ নম্বর দেওয়া নথিপত্র অনলাইনে পূরণ করা হচ্ছে। প্রকল্পে নথিভুক্ত করা ১৮-৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার এককালীন দু’লক্ষ টাকা পাবে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কৃষকের জমি নিজের নামে মিউটেশন করার জন্য এখন মিউটেশন ফি লাগছে না। কৃষকরা ভূমিদপ্তরে গিয়ে নিখরচায় প্রয়োজনীয় নথি জমা করে মিউটেশন করতে পারছেন।
যেসমস্ত কৃষকের নিজের নামে জমির পরচা রয়েছে এবং যাঁরা নথিভুক্ত বর্গদার শুধুমাত্র তাঁরাই কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পে টাকা পাবেন। জেলায় বর্তমানে কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। জেলায় ১৬০০ মৌজা রয়েছে। সব ব্লকে একদিনে দু’টি করে মৌজায় নাম নথিভুক্তকরণ শিবির করা হচ্ছে। তবে দপ্তরে কর্মীর সঙ্কট থাকায় ওই কাজে সময় লাগছে। অনলাইনের মাধ্যমে কৃষকবন্ধু নিশ্চিত আয় প্রকল্পে নাম তোলার কাজ হলেও সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন কর্মীরা। কৃষিদপ্তরের দাবি, জেলার ১৬০০ মৌজার কাজ সম্পন্ন করে কৃষকদের হাতে রবি শস্যের চেক তুলে দেওয়ার কাজ শেষ করার আগে খরিফ শস্যের মরশুম চলে আসবে। এদিকে অনেক কৃষকের হাতে জমির পরচা না থাকায় তাঁরা প্রকল্পে নাম তুলতে পারছেন না।