বাল্টিমোর: পণ্যবাহী জাহাজ ‘দালি’র ধাক্কায় ভেঙে পড়ল বিশালায়তন ‘ফ্রান্সিস স্কট কি’ সেতু। মঙ্গলবার রাত ১টা ২৮ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোর বন্দরে। দুর্ঘটনার পরই আগুন ধরে যায় জাহাজে। ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। প্যাটাপস্কো নদীতে একাধিক গাড়ি। গোটা ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর পেতেই সেখানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযানে নামেন নৌসেনা, পুলিস ও দমকল কর্মীরা। বাল্টিমোর দমকল বিভাগের প্রধান জেমস ওয়ালেস জানান, দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের খোঁজে ড্রোন উড়িয়ে শুরু হয় তল্লাশি। ড্রোন এবং বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে নদীতে পড়ে যাওয়া একাধিক যানবাহনের খোঁজ মিলেছে। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস ম্যুর। সেতু বিপর্যয়ের প্রাথমিক তদন্ত শেষে এটিকে দুর্ঘটনা বলেই জানিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে সেতুটিতে নির্মাণজনিত কোনও ত্রুটি ছিল না বলেও আশ্বস্ত করেন ওয়েস ম্যুর। তবে দুর্ঘটনার ঠিক আগে জাহাজটির অভিমুখ পরিবর্তনের বিষয়টি ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের। কেনই বা ধাক্কা লাগার আগে জাহাজটির সার্চ লাইট নিভে গিয়েছিল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় সময় রাত ১টা ২৪ নাগাদ কলম্বোগামী ওই জাহাজটির আলো নিভে যায়। এরপর ধাক্কা লাগার ঠিক আগের মুহূর্তে, ১টা ২৭ নাগাদ দালির সার্চ লাইটগুলি জ্বলে ওঠে।
অন্যদিকে, সেতু বিপর্যয়ের পর মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর এবং বাল্টিমোরের মেয়র ব্র্যান্ডন এম স্কটের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন পরিবহন সচিব পিট বুটিগিগ। তারপরই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন মেরিল্যান্ডের গভর্নর ওয়েস মুর। যদিও সেতু বিপর্যয়ে নাশকতার জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে পুলিস প্রধান রিচার্ড ওরলি বলেন, এঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।