ইসলামাবাদ (পিটিআই): প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলেন জোটপ্রার্থী আসিফ আলি জারদারি। শনিবারের নির্বাচনে তিনি ৪১১-১৮১ ভোটে হারালেন বিরোধী শিবিরের প্রার্থী মহম্মদ খান আচাকজাইকে। আরিফ আলভির স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। জারদারি এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনিই হলেন প্রথম অসামরিক ব্যক্তি, যিনি দ্বিতীয়বার পাক প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হলেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র কো-চেয়ারম্যানের পিছনে সমর্থন ছিল জোটসঙ্গী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর। তাই, সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের প্রার্থী মহম্মদ খান আচাকজাইয়ের বিরুদ্ধে জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। অঙ্কের হিসেবে এগিয়ে ছিলেন ৬৮ বছরের জারদারিই। কারণ জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল সেনেট, ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি, সিন্ধ ও বালুচিস্তান অ্যাসেমব্লিতে। অপরদিকে, বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল শুধুমাত্র খাইবার-পাখতুনওয়া অ্যাসেমব্লিতে। গণনা শেষ হতেই জারদারির ছেলে বিলাবল ভুট্টো ‘এক্স’ হ্যান্ডলে জারদারির জয়ের (২৫৫+৫৮+৪৩+ ৮+ ৪৭=৪১১) খবর পোস্ট করেন।
নতুন প্রেসিডেন্টকে বেছে নেওয়ার জন্য শনিবার ভোটগ্রহণ হয়। ভোটগ্রহণ চলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করেন জেলবন্দি তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সুপ্রিমো ইমরান খানের সমর্থক নির্দল প্রার্থীরা। কিন্তু, তাঁদের কাছে জয়ের মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা ছিল না। তাই, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর স্বামী জারদারির জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।