নয়াদিল্লি, ১৩ সেপ্টেম্বর: কৃষকদের কাছে ভাগ্যবান বলে পরিচিত মাইক্রো মুন বা ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখা যাবে আজ শুক্রবার। প্রায় ১৩ বছর এই ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখা যাবে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এরপরে ফের ২০৪৯ সালে এই ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখা যাবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই ক্ষুদ্রতম চাঁদ দেখা গিয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদ যে কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে, তা করতে করতে সেটি একবার পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে। আবার আরেকবার অনেক দূরত্বে চলে যায়। চাঁদ যে সময় পৃথিবী থেকে দূরত্বে চলে যায়, সেই সময়েই তাঁকে খুব ছোট দেখায়। তখনই সেটিকে ক্ষুদ্রতম বা মাইক্রো মুন বলা হয়। এই মাইক্রো মুন সাধারণ চাঁদের তুলনায় অন্তত ১৪ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট দেখায়।
শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরতম স্থানে থাকবে। সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের সর্বাধিক দূরত্ব যা হয়ে থাকে তার থেকে শুক্রবার আরও অনেক বেশি দূরত্বে অবস্থান করবে চাঁদ। শুক্রবার পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব হবে প্রায় ৪ লক্ষ চার হাজার ৯৯৯.৫ কিমি। চাঁদের সর্বাধিক দূরত্ব থেকে যা আরও অন্তত ১ হাজার ৩১৩ কিমি বেশি বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। কলকাতার পজিশনাল অ্যাস্ট্রনমি সেন্টারের ডিরেক্টর সঞ্জীব সেন জানিয়েছেন, এবার পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৩৬ মিনিটে। আর পূর্ণিমা ছাড়বে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ৩ মিনিটে। ফলে এই সময়ের মধ্যে চাঁদকে সব থেকে ছোট দেখাবে। বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, তবে পূর্ণিমা শুরুর সময়ে এই বিরলতম দৃশ্য ভারত সহ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে একে দেখা যাবে না, কারণ এই সময় এখানে দিনের আলো থাকবে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারা রাত মাইক্রো মুনকে দেখা যাবে গোটা দেশ থেকে।
কিন্তু, অন্য আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশেরই বিভিন্ন জায়গায় এখন প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সেই কারণে প্রায় সবসময়েই আকাশ মেঘলা থাকছে। তাই মাইক্রো মুন দেখার ক্ষেত্রে মেঘ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আজ শুক্রবারও আকাশ মেঘলা থাকবে। সঙ্গে চলবে বৃষ্টি। তাই ১৩ বছর পর কলকাতা-সহ রাজ্যের মানুষের মাইক্রো মুন দেখার সুযোগ হওয়া সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে পরের মাইক্রো মুন দেখতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে ২০৪৯ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত। ওই সময় চাঁদ আবার পৃথিবী থেকে সব থেকে দূরে চলে যাবে।