লন্ডন, ১২ জুলাই (পিটিআই): লন্ডনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সওয়াল করছিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। কিন্তু তাল কাটল কানাডার এক সাংবাদিকের প্রশ্নে। এজরা লেভান্ট নামে ওই সংবাদিক তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করার জন্য সরাসরি পাক সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন। পাক ইংরেজি দৈনিক ‘ডন’-এ প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। সেখানে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা নিয়ে কানাডার ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কুরেশির মৌখিকভাবে কথা কাটাকাটি হয়। পাক সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোয় তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ওই সাংবাদিক অভিযোগ করেন। ওই সাংবাদিক ট্যুইট করেন, ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ আমার পুরো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে না। একটি ট্যুইট পাকিস্তানের আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে সেটি মুছে ফেলা হয়েছে। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ অবশ্য আমাকে ইমেল করে বিষয়টি জানিয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, আমি কানাডার নাগরিক। ট্যুইটার হল আমেরিকার। অথচ আমার উপর বিধিনিষেধ চাপিয়ে দিল পাক সরকার।
সম্প্রতি জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করার জন্য তিনটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে পাক সরকার। পাশাপাশি কয়েকজন সাংবাদিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গটি উঠতেই কুরেশি বলেন, প্রথমে উচিত প্রত্যেকের ভাবাবেগকে সম্মান জানানো। অনেক সময় মিডিয়ার স্বাধীনতার কথা বললেও দেখা যাচ্ছে, নিজেদের এজেন্ডা প্রচার করা হচ্ছে। এদিকে সাংবাদিকরা পাক সরকারের দু’মুখো নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুললে কুরেশি অবশ্য কোনও জবাব দেননি।