বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
সমুদ্রের রং নীল থেকে সবুজ হয় ফাইটোপ্ল্যাংটনদের অবস্থানের কারণে। কোন প্রজাতির ফাইটোপ্ল্যাংটন কীভাবে সজ্জিত রয়েছে, তার উপর রং নির্ভর করে। সমুদ্রের রং গাঢ় হওয়ার অর্থ সেখানে ফাইটোপ্ল্যাংটন কম রয়েছে। ফাইটোপ্ল্যাংটনের আধিক্যের কারণে জলকে সবুজ দেখায়। গবেষকরা বলছেন, বিভিন্ন প্রজাতির ফাইটোপ্ল্যাংটন সূর্যের আলো ভিন্ন ভিন্নভাবে শোষণ করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রীষ্ম মণ্ডলীয় অঞ্চলে ফাইটোপ্ল্যাংটন কমে যাওয়ার কারণে গাঢ় রং ধারণ করবে। আর মেরু অঞ্চলগুলি এখন যার রং সবুজ দেখায়, সেগুলি আরও গাঢ় সবুজ হয়ে যাবে। কারণ সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোপ্লাংটনের সমাবেশ ঘটবে। নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় এই গবেষণার খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, এখন থেকেই রং পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
সমুদ্রের রং নীল দেখায়। কারণ, সূর্যালোকের সাত রংয়ের মধ্যে জলের অণু নীল রং শোষণ করতে পারে না। কিন্তু জলের মধ্যে ফাইটোপ্ল্যাংটনের উপস্থিতি সেই আচরণের বদল ঘটায়। আর সে কারণে রংয়ের ঘনত্ব বদলে যায়। ফাইটোপ্ল্যাংটন সবুজ রং কম শোষণ করলে জলের রংয়ে সবুজের আধিক্য দেখা যাবে। ফলত, নীল এবং সবুজের মিশ্রণে তা গাঢ় নীল দেখাবে। সুবিধার জন্য গবেষকরা গবেষণাগারে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে এক কৃত্রিম অবস্থা তৈরি করেন। গ্লোবাল টেম্পারেচার তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়িয়ে তাঁরা দেখেন, ফাইটোপ্ল্যাংটনগুলি নীল এবং সবুজ রংয়ের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য শোষণে বিরূপ প্রভাব দেখাচ্ছে।