সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সম্পদ পুনর্বন্টন নিয়ে মোদির দাবি খারিজ করতে দিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এখন বিভিন্ন জনসভায় মানুষকে ভয় দেখাচ্ছেন যে কংগ্রেস মহিলাদের গয়না, মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে। এমনটা কি সম্ভব? আসলে মোদি ভয় পেয়েই এসব কথা বলছেন। আমি অনেক প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের মধ্যে একজন । তিনি দেশের জন্য আত্মবলিদান দিয়েছেন। রাজীব গান্ধীও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর ছিন্নভিন্ন দেহ বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এমন প্রধানমন্ত্রী দেখিনি, যিনি দেশের মানুষকে মিথ্য কথা বলছেন।
প্রিয়াঙ্কা আরও বলেছেন, বিজেপির বিভিন্ন নেতা ও প্রার্থীরা বারবার সংবিধান বদলের হুঙ্কার দিচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেকথা অস্বীকার করছেন। আসলে এটাই তাদের ভোট কৌশল। আসলে বিজেপি যা করতে চায়, তা কখনই তারা স্বীকার করে না। কিন্তু ক্ষমতায় এলেই স্বমূর্তি ধরে। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, সংবিধানকে বদলে দিয়ে সাধারণ মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিতে চায় বিজেপি।
কংগ্রেস নেত্রী জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও মোদি সরকারকে নিশানা করেন। তাঁর কটাক্ষ, মোদি আসলে ‘মেহেঙ্গাই (মূল্যবৃদ্ধি) ম্যান’। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, বিজেপি নেতারা দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী এতটাই শক্তিশালী যে তুড়ি মেরে যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। তাহলে কেন দেশ থেকে গরিবি মুছে দিতে পারছেন না তিনি?
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, মোদির নিজের রাজ্য সহ গোটা দেশে আদিবাসী ও দরিদ্র মানুষ কষ্টে রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কম মজুরি ও মহিলাদের উপর হিংসার ঘটনায় গোটা দেশেই আদিবাসীরা বিপর্যস্ত। সেইসঙ্গে দলের ইস্তাহারে সরকারের ৩০ লক্ষ শূন্য পদে নিয়োগ সহ দলের একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর ঘোষণা, কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে ‘মনরেগা’র কাজের ধাঁচে শহরাঞ্চলেও ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা হবে। শ্রমিকদের ন্যুনতম ৪০০ টাকা দৈনিক মজুরির পক্ষে সওয়াল করেন কংগ্রেস নেত্রী।