রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মোদি-বিরোধী ধর্মযুদ্ধে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের যে আসনগুলিকে শক্ত গড় হিসেবে বিজেপি দাবি করে, সেখানেই লাগাতার সভা করে চলেছেন তিনি। টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার হোক বা সভামঞ্চ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিচ্ছেন, এক ইঞ্চি জমি তিনি ছেড়ে দেবেন না। মমতার সাফ কথা, ‘দেশে শুধু একবার ৪০০ আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। সেটাও ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর। তাঁর মৃত্যু দেশের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। সেটাই ছিল একতরফা ভোটের কারণ। রাজীব গান্ধীও জানতেন না যে, দেশের এই রায় হবে। আর এই বিজেপি এখন বলছে ৪০০’র বেশি আসন পাবে! এটা ওদের আরও একটা ভাঁওতাবাজি, জুমলা।’ কেন মোদি-শাহের এই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন মমতা? তৃণমূল সুপ্রিমোর ব্যাখ্যা, ‘আত্মবিশ্বাস থাকলে ইডি-সিবিআইকে নামিয়ে বিরোধীদের জেলে পুরত না।’ এই প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে আয়কর তল্লাশির বিষয়টি। বলেন, ‘অভিষেক আমাদের দলের লড়াকু সৈনিক। আগামী দিনে দলে তাঁর ভূমিকা কী হবে, সেটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার, বিজেপি বিরোধী কঠোর অবস্থানের জন্যই বারবার এজেন্সির হাতে হেনস্তা হতে হচ্ছে ওঁকে। অভিষেককে বলব, এই হেনস্তার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা করতে।’
মমতার আক্রমণে এদিনও উঠে এসেছে বিজেপির ইস্তাহার প্রসঙ্গ। ‘মোদির গ্যারান্টি’ দেখেই তিনি নিশ্চিত, বিজেপি জিতছে না। কারণ, যে সব দাবি গেরুয়া শিবির করেছে, তা মানুষ মেনে নেবে না বলেই বিশ্বাস তাঁর। এক দেশ এক ভোট হোক বা সিএএ—‘মোদির জনবিরোধী গ্যারান্টি’ কিছুতেই বিজেপিকে জিততে দেবে না বলে ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘বিজেপির একমাত্র উপায় হল ইভিএমের চিপে কারচুপি। তাতেই ৪০০ পার সম্ভব।’ তাহলে কত আসন পাবে মোদিব্রিগেড? মমতার হিসেব অনুযায়ী, কিছুতেই ২০০’র বেশি নয়। ধুপগুড়ির সভা থেকেই তাই ‘মোদি হটাও’য়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। তাঁর হুঙ্কার, ‘মোদিকে না হটালে দেশ বিক্রি হয়ে যাবে। দেশ বাঁচাতে হলে মোদি সরকারকে উৎখাত করতেই হবে।’ নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারি থেকে প্রতিরক্ষা চুক্তি, এই সবেরই উল্লেখ করেছেন ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম কাণ্ডারী। কিন্তু এরপর তাঁকেই এজেন্সিরাজের কোপে পড়তে হবে না তো? মমতার উত্তর, ‘জেলের ভয় আমি পাই না। বরং জেলে গেলে খানিক বিশ্রাম পাব। বাইরে ওদের যা অত্যাচার, তার থেকে জেল ভালো। দেশের গণতন্ত্রকেই তো জেলবন্দি করে ফেলেছে।’