রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কংগ্রেস অবশ্য মাইসুরু কেন্দ্র জিততে চেষ্টার কোনও খামতি রাখছে না। জাতপাতের অঙ্কে সাফল্য আনতে শুরু হয়েছে ভোক্কালিগা কার্ড খেলা। তাঁদের প্রার্থী লক্ষ্মণ যে ভোক্কালিগা, সেই বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস জোরদার প্রচার করছে। ভোক্কালিগারাও কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে খুশি। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান তথা উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারও ভোক্কালিগা। সিদ্ধারামাইয়া, লক্ষ্মণ এবং শিবকুমার যৌথভাবে প্রচার করে ‘ভোট ফর ভোক্কালিগা’র ডাক দিয়েছেন। তার প্রভাবও পড়েছে যথেষ্ট। সাধারণ নির্বাচনে স্থানীয় বিষয় কতটা গ্রহণযোগ্য? এক ভোক্কালিগা নেতা জানান, ‘জাতীয় বিষয় তো রয়েছে। তবে আমাদের স্থানীয় বিষয় চিন্তা করতে হবে।’
ভোক্কালিগা ভোট টানতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী ওয়াদিয়ারও। তিনি ভোক্কালিগাদের পূজ্য আদি চুনচানগিরি মঠ এবং তাঁদের আইকন নির্মলানন্দ নাথ স্বামীজির মন্দিরে ‘দর্শন’ করেছেন। কর্ণাটকে এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার জনতাদল সেকুলারের সঙ্গে জোট করেছে বিজেপি। জেডিএসের ভোক্কালিগা ভোটের পাশাপাশি বিজেপির ব্রাহ্মণ ভোটের উপর ভরসা করে মাইসুরু ভোট বৈতরণী পার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ওয়াদিয়ার। মাইসুরু এবং কোডাগু জেলার আটটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে এই লোকসভার অধীনে। বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল— মেদিকারি, বিরাজপেট, পেরিয়াপাটনা, হুনাসুরু, চামুণ্ডেশ্বরী, কৃষ্ণরাজা, চামরাজা, নরসিমারাজা। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আটটি কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটি গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। বাকি দু’টিতে জেডিএস এবং একটি রয়েছে বিজেপির দখলে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপির প্রতাপ সিমহা ১০ বছর ধরে এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। মুখ বদলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া আটকাতে চেয়েছে বিজেপি। মাইসুরুর ভোট নিয়ে সবচেয়ে চাপে রয়েছেন সিদ্ধারামাইয়া নিজে। ২০২৩ সালের বিধানসভায় বিপুল ভোটে জেতার পরে জয় ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ তাঁর।