বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ ভবনের কাছে নতুন সংসদ ভবন তৈরির জমি খোঁজা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে এমপি সহ বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হবে। সংসদ ভবনের ব্যাপারে আপাতত এই সিদ্ধান্ত হলেও রেলভবন, শাস্ত্রী ভবন, কৃষি ভবন, উদ্যোগ ভবন, নির্মাণ ভবনের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসের বাড়িগুলিকে ভেঙে দেওয়া হবে। পরিবর্তে আধুনিক সচিবালয় তৈরি করা হবে। নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক ভূমিকম্পরোধক নয়। সে ব্যাপারেও সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে উল্লেখ করেন হরদীপ সিং পুরি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও বলেছেন, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এখন যে সদস্য সংখ্যা রয়েছে, ডিলিমিটেশনের পর তা বাড়তেও পারে। তখন তো এই সভায় বসার আসন বাড়াতেই হবে। তাছাড়া সংসদে এমপিদের নিজেদের কোনও ঘর নেই। অন্যান্য অফিসিয়াল কাজের জন্যও ঘর দরকার। সর্বোপরি বর্তমান সংসদ ভবনের বয়সও হয়ে গেল ৯২ বছর। তাই নতুন সংসদ ভবনের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। জানিয়ে দেন হরদীপ সিং পুরি।
কেবল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই নন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছেন। এমপি সহ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। যদিও সরকারের এই উদ্যোগে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে। এমপিদের বেশিরভাগই চান ঐতিহ্যশালী ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রকৃত মন্দিরেই আইনসভা অটুট থাকুক। প্রয়োজনে সংস্কার হোক। কিন্তু সরানো নয়। তাছাড়া সংসদ ভবন আবেগেরও বিষয়। দ্বিতীয়ত যে সরকার আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিয়ে চলছে, সেখানে ফের নতুন করে কোটি কোটি টাকা খরচ করার কোনও যুক্তি নেই বলেই মত দিয়েছেন দিল্লি ডেভলপমেন্ট অথরিটি (প্ল্যানিং) প্রাক্তন কমিশনার এ কে জৈন।
ছ’ একর জমির ওপর ৫৬০ ফুট গোলাকার বর্তমান ঐতিহ্যশালী সংসদ ভবনটি তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বাট বেকার। ১৯২১ সালে শুরু হয় গড়া। শেষ হয়েছিল ১৯২৭ সালে। এখানেই বসেছিল ভারতের কনস্টিটুয়েন্ট অ্যাসেম্বলি। যা এখন সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হল। এছাড়া সংসদ ভবনে রয়েছে ৫৪৫ সদস্যের লোকসভা। ২৪৫ আসনের রাজ্যসভা।
রয়েছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সহ বেশ কিছু ক্যাবিনেট মিনিস্টারের কক্ষ। সংসদীয় কমিটির বৈঠকের ঘর। রাজনৈতিক দলের অফিস। ক্যান্টিন ইত্যাদি। এই ক্যান্টিনের একটি অংশে ২০১২ সালে আগুন লাগার পরেই প্রথম শুরু হয় সংসদভবন সরানোর আলোচনা। উদ্যোগ নেন তৎকালীন স্পিকার কংগ্রেসের মীরাকুমার। ২০১৪ সালে মোদি সরকারের নগরোয়ন্নয়নমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু সেই উদ্যোগ বাড়ান। কিন্তু বেশিরভাগ এমপির আপত্তিতে আটকে যায়।