বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্ভাব্য নামের তালিকা যথেষ্ট লম্বা। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী দু’জনেই আগাম জামিনে রয়েছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার মালিকানা হস্তান্তর সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলা ঝুলছে তাঁদের নামে। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা শশী থারুরের বিরুদ্ধে রয়েছে স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের রহস্যময় মৃত্যু সংক্রান্ত একটি মামলা। সমাজবাদী নেতা অখিলেশ যাদবের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা খনি দুর্নীতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন একইদিনে তিনি ও তাঁর মন্ত্রক ১৩টি খনির লাইসেন্স প্রদান করেন। সেটা নিয়ম মেনে হয়নি বলে এনফোর্সমেন্ট অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা রয়েছে, যা সিবিআইয়ের এক্তিয়ারে। মায়াবতীর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার মধ্যে তাজ করিডর ফাইল সিবিআই বন্ধ করেছে। কিন্তু এখনও রয়েছে উত্তরপ্রদেশজুড়ে নিজের ও দলের প্রতীকের স্ট্যাচু নির্মাণ বিতর্ক ও কোথা থেকে সেই টাকা এসেছে সেই মামলা। আছে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলাও। ডিএমকে নেত্রী করুণানিধি কন্যা কানিমোঝি, এ রাজাকে ২০১৭ সালে টুজি মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল বিশেষ সিবিআই আদালত। কিন্তু সিবিআই পুনরায় হাইকোর্টে আবেদন করেছে ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। লালুপ্রসাদ যাদব জেলে। কিন্তু যাঁকে তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার ভাবা হয়েছে, সেই তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে ইডি। লালুপ্রসাদের স্ত্রী রাবড়ি দেবি, কন্যা মিসা ভারতীর বিরুদ্ধেও আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির বিরুদ্ধেও বহু পুরনো আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলা রয়েছে ইডির কাছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, দেশের প্রায় তাবৎ বিজেপি বিরোধী দলের প্রধান নেতানেত্রীর বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির মামলা রয়েছে। যে কোনও মামলা যে কোনও সময় সক্রিয় হয়ে উঠতেই পারে।
গোটা তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দলের নেতাদের সারদা, নারদের মামলায় সিবিআই বারংবার জেরা, তল্লাশির নামে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করলেও এখনও পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হয়নি। একটিও এফআইআর নয়। অন্যদিকে বিজেপি নেতামন্ত্রীদের নামেও রয়েছে একঝাঁক মামলা। সিবিআই থেকে এনফোর্সমেন্ট। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা, বেল্লারির রেড্ডি ভাইয়েরা, মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম দুর্নীতি, অসমের হেমন্ত বিশ্বশর্মা ইত্যাদি বহু প্রথম সারির নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। চিদম্বরমের গ্রেপ্তারি আদতে বিরোধীদের বার্তা—শুধু চিদম্বরমকে দিয়েই এই প্রক্রিয়া সম্ভবত সমাপ্ত নয়। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ রাজনৈতিকভাবে অনেক সুধিবাজনক অবস্থানে। তাই বিরোধীদের যে যথেষ্ট শঙ্কিত করে রাখা সম্ভব হবে এটা নিয়ে সংশয় নেই মোদি-অমিত শাহের।