বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
উলার লেক নিয়ে আলাদা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল। ১৯১১ সালের নথি তুলে ধরে সংস্থা জানিয়েছে কীভাবে উলার লেকের আয়তন কমেছে। ১৯১১ সালে ২১৭.৮ বর্গকিমি বিস্তৃত ছিল উলার লেক। ২০০৭ সালের মধ্যে ৫৮ থেকে ৮৬.৭১ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃতি হারিয়েছে এই হ্রদ। উলারের প্রায় ৪৫ শতাংশ এলাকা হারানোর পিছনে রয়েছে কৃষিকাজ থেকে বৃক্ষরোপণ সবই। কৃষিকাজের উপযোগী করার জন্য ২৮ শতাংশ এলাকা কমেছে হ্রদের। আর বৃক্ষরোপণের জন্য কমেছে ১৭ শতাংশ এলাকা।
২০১৪ সালে কাশ্মীরে বন্যার কারণ খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওয়েটল্যান্ড ইন্টারন্যাশনালকে। সেই নিয়ে রিপোর্টে ঝিলাম নদীর উপর চাপ পড়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থা। তাতে বলা হয়েছে, এই নদীর দু’দিকে বসতি তৈরি হওয়ায় জল বেরিয়ে যাওয়ার মতো পথ পাচ্ছে না। তাতে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে সারা উপত্যকাতেই যত্রতত্র নির্মাণ গড়ে উঠেছে। ফলত মাটির জল শোষণের সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে।
এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজ্য সরকারের বন্যা নিয়ন্ত্রণের অনীহাও। ২০১৪ সালের বন্যার পরে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ দোগরিপোরা চ্যানেল তৈরির প্রস্তাব ওঠে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণ কাশ্মীরের অবন্তীপোরা থেকে উত্তর কাশ্মীরের বন্দিপোরা জেলার উলার লেক জুড়ে যেত। ২০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের থেকে ডিপিআর চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে ডিপিআর তৈরির জন্য একাধিক কমিটি তৈরি করেছে সরকার। কিন্তু চার বছরে ডিপিআর তৈরি করা যায়নি।