আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিশেষ কমিটির অন্যতম সদস্য ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবটি দিয়েছেন। বিলের খসড়া তৈরি করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রক আজ একটি সাব-কমিটি তৈরি করেছে। যেখানে আইএমএ’র নেতৃত্বে বিলের খসড়া তৈরি হবে। কমিটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, আইনমন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক, এমসিআইয়ের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। বিলটি দ্রুত তৈরি করার কথা মাথায় রেখে আগামী বুধবারই সাব-কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ১০ সদস্যের মূল কমিটিও ফের আগামী ২২ জুলাই বৈঠকে বসবে।
এনআরএস কাণ্ডের জেরে কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়। প্রায় গোটা দেশেই দাবানলের মতো ডাক্তারদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)র আবাসিক ডাক্তাররা এনআরএসের প্রহৃত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতেই গোটা দেশে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। লেখেন চিঠিও। ডাক্তারদেরওঅনুরোধ করেন, কর্মবিরতি চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবাদের পথ হতে পারে না। কেন্দ্রের অনুরোধে কর্মবিরতি উঠে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ভবিষ্যতে যাতে কোনওভাবেই কেউ ডাক্তারদের ওপর হামলা করে পার না পেতে পারে, তারই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় আইন আনার তোড়জোর শুরু করেছে মোদি সরকার।
বিল তৈরির ক্ষেত্রে আজ বিশেষ কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারায় সাজা দেওয়ার জন্য আইপিসি এবং সিআরপিসি’র প্রয়োজনীয় সংশোধন হবে। ডাক্তারদের মারধর করলে এখন যেমন যিনি মার খান তাঁকেই ব্যক্তিগতভাবে থানায় অভিযোগ করতে হয়। কেন্দ্রীয় আইনে তা বদলানো হবে। ওই সরকারি চিকিৎসক যে হাসপাতালে কর্মরত, মারধরের ঘটনা ঘটলে সেই প্রতিষ্ঠানের সুপার বা প্রিন্সিপাল এফআইআর করবেন। যাতে ব্যক্তি-চিকিৎসকের ওপর কোনওরকম মামলা প্রত্যাহারের চাপ আসতে না পারে।
‘কিউরেটিভ’ এই ব্যবস্থার পাশাপাশি ‘প্রিভেনটিভে’রও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তা হল, ডাক্তার-রোগির সম্পর্ক। রোগির পরিবারও যাতে সচেতন এবং সতর্ক হয়, তার লক্ষ্যে প্রতিটি হাসপাতালে বড় বড় করে কেন্দ্রীয় আইনের বিষয়টি ডিসপ্লে ইত্যাদি। কারণ, ডাক্তারদের হেনস্তা রুখতে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, দিল্লি সহ গোটা দেশের ১৮ টি রাজ্যে বর্তমানে আইন থাকলেও সেগুলি ঠিক মতো কার্যকর নয় বলেই এদিনের বৈঠক আলোচনা হয়েছে। ওই আইনে তিন বছর পর্যন্ত জেলের শাস্তি থাকায় অভিযুক্তরা বেশিরভাগ সময়ই অতি সহজে জামিন পেয়ে যায়। তাই সংবিধান মোতাবেক স্বাস্থ্য মূলত রাজ্যের বিষয় হলেও কেন্দ্রীয় আইন তৈরি আনা হচ্ছে।