বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ইউপিএ চেয়ারপার্সনের শপথবাক্য পাঠের সময় একদিকে কংগ্রেস সাংসদরা টেবিল চাপড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করার জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানান বিজেপির সংসদ সদস্যরাও। সোনিয়া গান্ধীর পরেই এদিন শপথবাক্য পাঠ করতে ওঠেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী। দু’জনে পরস্পরের প্রতি হাত জোড় করে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন। এবারের নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর থেকে জয়ী হয়েছেন মানেকা গান্ধী। পিলভিট থেকে জয়ী তাঁর ছেলে বরুণ গান্ধীও এদিন শপথগ্রহণ করেন। বিভিন্ন দলের একাধিক সাংসদের পাশাপাশি মঙ্গলবার শপথগ্রহণ করেন সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব, শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল, অভিনেতা সানি দেওল। এদিন হুইলচেয়ারে চেপে ছেলে তথা সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের সঙ্গে লোকসভায় আসেন মুলায়ম সিং যাদব। শারীরিক অসুস্থতার জন্য হুইলচেয়ারে বসেই শপথবাক্য পাঠ করেন তিনি। সাদা জামা-ডেনিম জিন্স ও ব্লেজার পরে লোকসভায় আসেন প্রথমবারের জয়ী সাংসদ সানি দেওল। তিনি ইংরেজিতে শপথ পাঠের সময় ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে স্লোগান দেন একাধিক সাংসদ। এই স্লোগান শুনে মুচকি হাসার সময়েই মনোসংযোগ হারিয়ে শপথবাক্য পাঠের সময় একটু ভুলও করে ফেলেন তিনি।
সাংসদ ওম বিড়লাকে লোকসভার স্পিকার পদের জন্য মনোনীত করেছে বিজেপি। এদিন তিনি লোকসভায় আসতেই অন্যান্য সংসদ সদস্যদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর শপথবাক্য পাঠের সময়েও টেবিল চাপড়ে উচ্ছ্বাস জানান অনেকে। এদিন শপথ গ্রহণ করেন আম আদমি পার্টির একমাত্র সাংসদ ভগবন্ত মান। শপথবাক্য পাঠের পর ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দেন তিনি। শিরোমণি অকালি দলের প্রধান সুখবীর সিং বাদল আবার ‘ওহায়ে গুরুজি কা খালসা, ওহায়ে গুরুজি কি ফতে’ বলে শপথবাক্য পাঠ শেষ করেন।
এদিন শপথ গ্রহণকারীদের তালিকায় ছিলেন এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, প্রণীত কাউর, শশী থারুর, অভিনেত্রী কিরণ খের। ১৭তম লোকসভার সূচনার দিন, সোমবার শপথ গ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গাদকারি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ অন্যরা। সোমবার রাহুল গান্ধী সহ কেরলের অন্যান্য সাংসদরা শপথ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন শশী থারুর। ছেলে কার্তি চিদম্বরমের শপথবাক্য পাঠের সাক্ষী থাকতে এদিন স্পিকার গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। মিরাটের বিজেপি সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল শপথবাক্য পাঠ করেন সংস্কৃত ভাষায়। আজমিরের বিজেপি সাংসদ ভগীরথ চৌধুরী সংস্কৃতে শপথবাক্য পাঠ শুরু করলেও লোকসভার সেক্রেটারি জানান, নিজের পছন্দের ভাষা হিসেবে হিন্দি লিখেছিলেন ভগীরথ চৌধুরী। ফলে তাঁকে ফের হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করতে হয়। শপথবাক্য পাঠের সময় কয়েকটি শব্দ বাদ পড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বার শপথবাক্য পাঠ করতে হয় উত্তরপ্রদেশের দোমারিয়াগঞ্জের জগদম্বিকা পালকে।
হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এদিন উর্দুতে শপথবাক্য পাঠ করেন। তাঁর শপথ গ্রহণের সময় ‘জয় শ্রীরাম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দেন বিজেপি সাংসদরা। জবাবে শপথবাক্য পাঠের শেষে ওয়াইসিও পাল্টা স্লোগান দেন। বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী শপথবাক্য পাঠের ‘রাধে, রাধে’ বলে স্লোগান দেন। যদিও শপথ গ্রহণের শুরুতে প্রিসাইডিং অফিসার সকলকে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নবনির্বাচিত সাংসদদের পাশাপাশি পুনর্নির্বাচিত সাংসদদের অনেকে শপথবাক্য পাঠের পর স্লোগান দেন। শেষ পর্যন্ত প্রিসাইডিং অফিসার সাফ জানিয়ে দেন, কারও কোনও স্লোগানই নথিভুক্ত করা হবে না।