বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার ট্যুইটারে একটি কবিতা শেয়ার করেন তামিল এই অভিনেতা রাজনীতিবিদ। সেখানে কমল হাসান লেখেন, ‘হিন্দু শব্দটি দিয়েছে বিদেশি শাসকরা।’ তিনি আরও লেখেন, মুঘলরা নাম দিলেও পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ শাসকরা এই শব্দকে নতুন মাত্রা দিয়েছিল। তামিল ভাষায় প্রচলিত প্রবাদ ‘সৌহার্দ্যের মধ্যে বসবার করার লক্ষ সুবিধা রয়েছে’ উল্লেখ করে মাক্কাল নিধি মায়াম সুপ্রিমো বলেন, প্রথম শতাব্দীর কোনও আলোয়ার, নায়ানমার বা দক্ষিণ ভারতীয় কোনও কবি-সন্ত তাঁদের ধর্মীয় নোটে হিন্দু শব্দ ব্যবহার করেননি।
এরপরেই কমলের সংযোজন, ‘হয় মুঘল বা তারও আগে কোনও শাসকরা হিন্দু নামটি দিয়েছিল। পরে ব্রিটিশরা এই শব্দটিকে নয়া মাত্রা দিয়েছিল। যখন আমাদের নিজের পরিচয় রয়েছে, তখন কীভাবে নাম বা ধর্মের নামে বাইরের লোকের দেওয়া শব্দ গ্রহণ করি! আমাদের এই বিশাল দেশকে একটি ধর্মের মধ্যে মুড়ে ফেলা বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে ভুল। আমরা যদি একসঙ্গে বাস করি, তার কোটি কোটি সুবিধা আছে। তামিলদের নিয়ে এই প্রবাদ আর কতবার বলা হবে!’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার তালিনাড়ুর আরাভাকুরুচি জনসভা করার পর মঞ্চ থেকে নামার সময় কমলের দিকে ডিম ও পাথর ছোঁড়ে দু’জন যুবক। তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তার আগে রবিবার মাক্কাল প্রধান বলেছিলেন, ‘স্বাধীন ভারতের প্রথম সন্ত্রাসবাদী হলেন একজন হিন্দু — নাথুরাম গডসে।’