বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শুক্রবার পাকিস্তানের বালাকোটে বায়ুসেনার হামলা নিয়ে তথ্য জানতে চান কংগ্রেস নেতা স্যাম পিত্রোদা। কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের বিদেশ শাখার এই প্রধান। তিনি বলেন, বিমানহানা নিয়ে ভারতের দাবি মানতে নারাজ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি। এরপরেই কংগ্রেসকে তুলোধোনা করে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে অপমান করেই চলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতির দেখানো রাস্তায় কংগ্রেসের তরফে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস পালনের উৎসব শুরু করলেন তাঁর সবচেয়ে আস্থাভাজন উপদেষ্টা।
শনিবার স্যাম পিত্রোদার সেই মন্তব্যকে ঢাল করে কংগ্রেসকে নতুন করে আক্রমণ শানালেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, নির্বাচন এলেই ‘ভোটব্যাঙ্ক’ রাজনীতির স্বার্থে ‘তোষামোদ’ শুরু করে বিরোধী দলগুলি। শোকার্ত পরিবারদের নিয়ে রাজনীতি করা উচিত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অমিত। তাঁর কথায়, ‘এ ধরনের ঘটনায় কংগ্রেস বরাবরই মন্তব্যকারীদের থেকে দূরত্ব রেখেছে। তাঁরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পিত্রোদার মন্তব্যের জন্য শোকার্ত সেনা পরিবারের কাছে রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে।’
শুধু অমিত শাহ নন, সেনাবাহিনীকে আক্রমণের জন্য কংগ্রেস তথা বিরোধীদের একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভিও। এদিন পিত্রোদার নাম না করে তিনি বলেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে হেনস্তা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, তাঁরাই এখন সেনাবাহিনীকে অপমান করছেন। প্রসঙ্গত, সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশের টেলিকম বিপ্লবের অন্যতম রূপকার স্যাম পিত্রোদা বলেন, ‘২৬/১১-এর সময়েও আটজন জঙ্গি পাকিস্তান থেকে এসে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা সেই দেশের প্রত্যেক নাগরিককে এর জন্য দায়ী করতে পারতাম। সেই দেশে যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারতাম। কিন্তু, এই মতে আমি বিশ্বাসী নই।’