বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সকালে মমতা সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে মোদির বিদায়ের শপথ নেন গোটা দলকে পাশে নিয়ে। সংসদ ভবনের পর দুপুরেই পৌঁছে যান যন্তরমন্তরে। আম আদমি পার্টির আয়োজনে বিরোধীদের ধর্নাতেও নরেন্দ্র মোদিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, সিবিআই, ইডির ভয় আর কতদিন দেখাবে? আয়ু তো মাত্র ক’দিন। আজ লোকসভার অধিবেশন শেষ। কয়েকদিনের মধ্যেই ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। তখন সব অফিসাররাই হবে যাবে নির্বাচন কমিশনের। তাই তখন যতই চেষ্টা করো আর ভয় দেখাতে পারবে না। ধর্নায় মোদিকে আক্রমণ করতে গিয়ে গব্বর সিং, রাবণ, লুটেরা বলেও তোপ দাগেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, রাবণেরও তো ৫৬ ইঞ্চি ছাতি ছিল। দেশটাকে টুকরো টুকরো করতে চাইছে মোদি অমিত শাহ। যত চেষ্টাই করুক, এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে গিয়েছে। ইমার্জেন্সির থেকেও সাঙ্ঘাতিক অবস্থা দেশের। ডেমোক্র্যাসিকে ‘নমোক্র্যাসি’তে পরিণত করা হয়েছে। ধর্নামঞ্চে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শারদ পাওয়ার, আনন্দ শর্মা, ফারুক আবদুল্লা, রামগোপাল যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, চন্দ্রবাবু নাইডু, শারদ যাদব, কানিমোঝি, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো জনপ্রিয় নেতারা উপস্থিত থাকলেও মধ্যমণি ছিলেন মমতাই। সীতারাম ইয়েচুরি অবশ্য মমতা আসার আগেই বক্তব্য রেখে চলে যান। কমবেশি প্রায় প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বেঙ্গল কি শেরনি’ বলে আখ্যা দেন। বলেন, মোদিজির রাতের ঘুম যদি কেউ কেড়ে নিতে পারেন, তবে সেই আয়রন লেডি মমতাই।
মোদি বিরোধী জেহাদ চড়িয়ে মমতা বলেন, কলকাতার পুলিস কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। বলছে, মেডেল কেড়ে নেব। নির্দেশ দিচ্ছে অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও। এত সাহস! আমরা সবাই চোর, আর তুমি সাধু? দিল্লির যন্তরমন্তর থেকেই মমতা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন বাংলায় তিনি কাউকে জমি ছাড়বেন না। বলেন, বাংলা থেকে আমরা ৪২ আসনই নিয়ে আসছি। মোদিকে রুখতে হলে যে যেখানে শক্তিশালী তাকেই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। মোদির পরাজয়ের পরে আমরা আবার সভা করব রামলীলা ময়দানে।
এদিন সকালে সংসদেও যান মমতা। সরকারি অতিথিশালা বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দক্ষিণ দিল্লির সাকেতে পুষ্পবিহারে গোর্খা ভবনের শিলান্যাস করেন। সংসদে এদিন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়। মমতা সেন্ট্রাল হলে রয়েছেন শুনে লোকসভা থেকে বেরিয়ে ১০ জনপথ চলে যাওয়ার আগে সোনিয়াই তৃণমূলনেত্রীর কাছে এগিয়ে আসেন। ওদিকে লোকসভায় কিছুক্ষণ আগেই সোনিয়ার উপস্থিতিতে সরকারের আনা চিটফান্ড বিলকে সমর্থন করছি জানিয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরি তৃণমূল এবং মমতার সরকারের সমালোচনা করেছেন। সোনিয়াকে সেই প্রসঙ্গ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। সোনিয়া অবশ্য তৃণমূলনেত্রীকে শান্ত করার চেষ্টায় বলেন, আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেও মোদি বিরোধী লড়াইয়ে আদতে বন্ধু। মমতার রাগ অবশ্য তাতে কম হয়নি। পাল্টা তিনিও সোনিয়াকে শুনিয়ে দেন, মনে রাখব!