বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মল্লিকার্জুন এদিন ব্রিগেডের সভায় সোনিয়ার ওই বার্তা পড়ে শোনান। ওই বার্তায় ইউপিএ চেয়ারপার্সন বলেছেন, দেশের কৃষকদের মধ্যে চরম সঙ্কট চলছে। সীমান্তও আজ সমস্যায় জর্জরিত। যুবরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাষি থেকে মৎস্যজীবী— সকলেই বেজায় লোকসানের মধ্যে পড়েছে এই সরকারের জন্য। গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থা পঙ্গু হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র এবং সংবিধানের উপর হামলা হচ্ছে। সমাজ দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে। এই অবস্থায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধত ও বিভাজনকারী মোদি সরকারকে হটাতে বিরোধী ঐক্য জরুরি। তাই এই সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি। খাড়গে বলেন, কঠিন এই লড়াইয়ে আমাদের হৃদয় হয়তো সকলের এক হবে না। কিন্তু লক্ষ্য হাসিলে অন্ততপক্ষে হাতে হাত ধরে এগতে হবে আমাদের।
তবে হাইকমান্ডের এই অবস্থান প্রদেশ নেতৃত্বকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে বলে দলের রাজ্য নেতারা অনেকেই বলছেন। এজন্য নিচুতলায় বিভ্রান্তি তৈরিরও চরম সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে তাঁদের ধারণা। তবে খাড়গে এদিন প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রকে পাশে বসিয়ে রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ব্রিগেডে আমি যা বলেছি বা সোনিয়া ও রাহুলজি যে বার্তা দিয়েছেন, তা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। দেশের যা অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে, তাতে বিজেপিকে যে কোনও মূল্যেই হটাতে হবে। রাজ্যে নির্বাচনী রণনীতি বা কৌশল কী হবে, সেটা অবশ্যই প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। রাজ্য-রাজনীতিতে কংগ্রেস তাদের উপযুক্ত ভূমিকাই পালন করবে।
এদিকে, কংগ্রেস বা ব্রিগেডে আগত অন্যান্য বিজেপি বিরোধী নেতাদের এদিন মমতার মঞ্চে শামিল হওয়াকে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতা বলে বর্ণনা করেছে তৃণমূল নেত্রীর পুরনো শত্রু সিপিএম’ও। এদিন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ওঁরা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে এক সুরে কথা বলেছেন। এতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান আমরা তিন বছর আগে থেকে দিচ্ছি। তবে ওই নেতারা বাংলার রাজনীতির বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে অবহিত নন। এখানে ওঁরা রাজনীতি করলে বুঝতেন যে মোদি এবং মমতায় তেমন কোনও ফারাক নেই। যে গণতন্ত্র বা সংবিধানের উপর আঘাত করার কথা এদিন তৃণমূল নেত্রী ব্রিগেডে বলেছেন, সেই একই কাজ তিনি এ রাজ্যে করছেন। এখানে বিরোধীদের সভা করতে অনুমতি দেওয়া হয় না। বিরোধীদের উপর লাগাতার আক্রমণ চলছে। ভোটের নামে সর্বত্র প্রহসন হয়েছে। প্রতিবাদ করলেই বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রান করা হয়। আইন মেনে ধর্মঘট করলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এক দমবন্ধ করা পরিবেশ তৈরি হয়েছে বাংলায়। এই অবস্থার শিকার কংগ্রেস সহ সব বিরোধীরাই। তাই আমরা দেশ বাঁচাতে দিল্লি থেকে মোদি হটানোর যেমন ডাক দিয়েছি, তেমনই বাংলাকে রক্ষা করতে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানোর আহ্বান জানিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কী করবে, সেটা ওদেরই ঠিক করতে হবে। উল্লেখ্য, এদিন ব্রিগেডে মমতা সহ কোনও নেতার মুখেই সিপিএম বা বাম দলগুলি নিয়ে একটি শব্দও শোনা যায়নি তাৎপর্যপূর্ণভাবে।