বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সত্যরূপ সিদ্ধান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা ভিন দেশে অভিযানে গেলে ভারত থেকে তাঁর কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা দীপাঞ্জন দাস বলেন, মঙ্গলবার রাত প্রায় ১২টার পর থেকেই তাঁদের প্রত্যেকের চোখ ছিল কম্পিউটারের পর্দায়। সত্যরূপ সিদ্ধান্ত তাঁর পর্বতাভিযান পর্বে যাওয়ার জন্য বিদেশ থেকে ডেলেরমো বলে একটি যন্ত্র ক্রয় করেছিলেন। সেই মতোই সত্যরূপের অবস্থান জানতে মঙ্গলবার প্রায় সারা রাতই ডেলেরমো যন্ত্রটি যে সংস্থা বানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে নজর রেখেছিলেন তাঁর পরিচিতরা। দীপাঞ্জনবাবু বলেন, প্রায় সারারাতই তাঁরা ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সত্যরূপের প্রতি মুহূর্তে আপডেট দেওয়া হচ্ছিল।
দীপাঞ্জনবাবু বলেন, সত্যরূপের বন্ধুদের মধ্যে তিনি ছাড়াও বেঙ্গালুরু থেকে সুনীত মাইতি, বিজয়া দাস, বিজন চট্টোপাধ্যায়, ভাস্বতী চট্টোপাধ্যায়, দেবরাজ দে, সুদীপ্তা দে, সোনালি মুখোপাধ্যায়, জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়, অল্পা মুখোপাধ্যায়, অভি মুখোপাধ্যায় প্রমুখরা প্রত্যেকেই সারারাত জেগে ছিলেন। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সত্যরূপের আপডেট সকলের কাছে পৌঁছে দিচ্ছিলেন।
সত্যরূপ সিদ্ধান্তের মা গায়ত্রী সিদ্ধান্ত জানান, সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারিনি। বিভিন্ন জন ফোন করে খোঁজ নিচ্ছে, ছেলে কতদূর উঠল। কিছু খবর এল কি না? সেই সঙ্গে ছেলের বন্ধু-বান্ধব সহ অন্যান্য পরিচিতদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে কথাবার্তা বলে সারারাত একটা উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে কাটল মঙ্গলবার। তবে সকালে সুখবর আসতে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পেরেছি। ছেলে এখন সুস্থভাবে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসুক এটাই চাই। অন্যদিকে, দীপাঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, আগামী ২৬ জানুয়ারি কলকাতায় ফিরতে পারেন সত্যরূপ।
সত্যরূপের বন্ধু তথা এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদার বলেন, সত্যরূপকে কীভাবে স্বাগত জানানো যায় সেবিষয়ে ইতিমধ্যে তাঁরা কিছু পরিকল্পনা শুরু করেছেন। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আগে সত্যরূপের সঙ্গে কথা হোক, তারপরেই সমস্ত পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। সত্যরূপের নিজের ক্লাব সোনারপুর আরোহীর উদ্যোগে এয়ারপোর্ট থেকেই সত্যরূপকে এক বিশাল সম্বর্ধনা মাধ্যমে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে বলে তিনি জানান।