সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ সেই আবেদন অনুমোদন করেছে। তবে সঙ্গে তুলেছে প্রশ্নও। জমি হড়প আর নিগ্রহের মামলায় অভিযুক্তর জন্য রাজ্য সরকার কেন ঢাল হচ্ছে? অভিযুক্ত সময় চাইতে পারে। কিন্তু রাজ্য কেন? জবাবে সিংভি বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকার সম্পর্কে অনেক কথা বলেছে। যা সঠিক নয়। সরকার এই মামলায় মোটেই হাত গুটিয়ে বসে নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি সন্দীপ মেহতার মন্তব্য, তাহলে হাইকোর্টে গিয়ে অবমাননার মামলা করুন। আপত্তিকর মন্তব্য বাতিল করতে বলুন। এখানে সুপ্রিম কোর্টে আসার তো কোনও অর্থ নেই। যদিও রাজ্য জানায়, সুপ্রিম কোর্টেই আমরা শুনানি চাই।
এদিকে, সোমবার বিশেষ আদালতে শাহজাহান মামলায় ইডির দাবি, সন্দেশখালির বাদশা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে দু-তিনজন মন্ত্রীর যোগ ছিল। জমি দখলের টাকা তাঁদের কাছে গিয়েছে। বিচারক সকলকেই ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। আদালতে জমা দেওয়া রিমান্ড কপিতে ইডি দাবি করেছে ২০০৬ সালে শাহজাহান ছিলেন গুন্ডা। ২০১৩ সালে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মন্ত্রীদের সমর্থনে তিনি সন্দেশখালি এলাকায় শেষ কথা হয়ে ওঠেন। শাহজাহানের পাঁচ-ছয়–জন অনুগামী ছিল। যাঁরা অস্ত্র দেখিয়ে তোলাবাজি করত এলাকায়। শাহজাহানের ভাই আলগমীর ও শিবপ্রসাদ হাজরা লোকজনকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। ইডি রিমান্ড লেটারে জানিয়েছে, এক সাক্ষী জানিয়েছেন শিবপ্রসাদ বাধ্য করেন ইমারতি দ্রব্য কিনতে। মাল না দিয়েই ৪৫ লক্ষ টাকা নিয়ে নেন। ঠিকাদারি কে পাবেন, তা ঠিক করতেন আলমগীর ও শিবপ্রসাদ। সমস্ত ঠিকাদারদের শাহজাহানের গেস্ট হাউস ও ব্লক অফিসে ডাকা হতো। কে কোন ঠিকাদারি পাবেন তা ঠিক করে দেওয়ার পর কমিশন নিতেন দুজন।