সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে প্রচারে এসে আগাগোড়া কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন অভিষেক। তীব্র গরমের মধ্যেও দু’টি সভাতেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জামালপুরে ভিড়ের নিরিখে পুরুষদের টেক্কা দিয়েছেন মহিলারা। ভিড় দেখে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের সোনাপতি বলেন, বোতাম এখানে টিপবেন আর ভূমিকম্প দিল্লিতে হবে। মোদিজি বলেছেন তাদের এই ১০ বছর শুধুমাত্র ট্রেলার। এবার সিনেমা হবে। সেই সিনেমাতে কী দেখা যাবে? এক হাজার টাকা রান্নার গ্যাস। ৯২ টাকা এক লিটার ডিজেল। ৪৭০টাকা কেজি রসুন। ডিম ৭টাকা পিস। আর দিদির সিনেমাতে শুধুই উন্নয়ন। পাঁচ বছর এদের দেখা নেই, আজ বড় বড় ভাষণ। বিজেপি সরকারের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কেন্দ্রে প্রগতিশীল সরকার হতে চলেছে। চালিকাশক্তি হিসেবে বাংলা বড় ভূমিকা নেবে।
কেন্দ্রকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ভোটের সময় ইডি, সিবিআই, এনআইএ আসছে। তারা বিজেপিকে সুযোগ করে দিচ্ছে। কিন্তু শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব। কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না। শিরদাঁড়া বিক্রি করব না। বাংলায় বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়বে বলে তৃণমূলের সেনাপতি আশাবাদী। তিনি বলেন, বহিরাগতদের বিসর্জন দেবেন। ফল বেরনোর পর পদ্মফুলের নেতারা চোখে সর্ষেফুল দেখবে। কুৎসাকারী, অত্যাচারী, স্বৈরাচারী বিজেপি সরকারের পতন নিশ্চিত। বিজেপি বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি আমরা যতদিন আছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কেউ হাত দিতে পারবে না। আগামী দিনে প্রগতিশীল সরকার হলে সারা দেশে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যকর হবে। রান্নার গ্যাস এক হাজার থেকে ৫০০ টাকায় নেমে আসবে। চাল- ডালের দাম কমবে।
নির্বাচন কমিশনের নাম না করে অভিষেক বলেন, মানুষের উপর অত্যাচার করার জন্যই সাত দফায় ভোট করা হয়েছে। বিধানসভার সময়ও আট দফায় ভোট করা হয়েছিল। বাংলার মানুষের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ, এরাজ্যের মানুষকে ছোট করে দেখা হয়েছে। আপনারা এখানে ইভিএমে বোতাম টিপবেন দিল্লিতে ভূমিকম্প হবে। বিজেপি একমাত্র তৃণমূলকে ভয় পায়। ওরা অনেক চেষ্টা করেছিল। ব্যর্থ হয়েছে। যে বিচারপতি এজেন্সি লাগিয়েছিলেন, তিনি এখন বিজেপির প্রার্থী।