সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
এদিকে, তীব্র দাবদাহে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে রাজ্যের মোট ৩৩ জন গরমে অসুস্থ হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অসুস্থতার সংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছেন, সব জেলাকে এব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের কর্তা সোমনাথবাবু বলেন, ‘আমাদের এখন গরম নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তনের কারণে এখন আমাদের গরম সহ্য করার ক্ষমতা কমে গিয়েছে।’ আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড বলছে, ১৯০৫ সালের এপ্রিলে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.১ ডিগ্রি হয়েছিল। গত ৫০ বছরের মধ্যে ১৯৮০ সালের এপ্রিলে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি হওয়ার নজিরও আছে।
তবে এবার যেভাবে টানা প্রায় ১০ দিন ধরে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি চলছে, তেমনটা সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শুষ্ক ও গরম বাতাস দক্ষিণবঙ্গজুড়ে সক্রিয় থাকার কারণেই এটা হচ্ছে। এই সময় বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত বা উচ্চচাপ বলয় তৈরি হলে বাতাসে জলীয় বাষ্প ঢুকে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি করে। তখন ঝড়-বৃষ্টিও হয়। এবার এখনও সেরকম কোনও পরিস্থিতি হচ্ছে না। মে মাসের প্রথম দু’দিনেও সেরকম সম্ভাবনা নেই।