সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আসানসোলের কাছে একটি স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর স্কেলের শিক্ষিকা শাশ্বতী চট্টোপাধ্যায়। ২০০৬ সালের এসএসসিতে তিনি ভূগোল পাশ বিষয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইন্টারভিউয়ে বাদ পড়লেও, তিনি সাফল্যের সঙ্গে ফিরে আসেন পরের বছর। ২০০৭ সালে বাঁকুড়ার ইন্দাসের একটি স্কুলে পাশ স্কেলেই চাকরি পান। ২০১১ সালে পুরুলিয়ার একটি স্কুলে পিজি স্কেলের শিক্ষিকা হন। তবে, শ্বশুরবাড়ির কাছাকাছি আসতে ২০১৬ সালের এসএলএসটিতে অংশ নেন। এবার আসানসোলের কাছে ওই স্কুলটিতে চাকরি পান। চাকরি হারানোর অর্ডারের পর থেকে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে লিখিত পরীক্ষায় চারবার উত্তীর্ণ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এই শিক্ষিকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষিকার অবস্থা আরও করুণ। তাঁর এটি ছিল চার নম্বর স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি। সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর ওএমআর শিটে নম্বর হেরফেরের অভিযোগ এসেছে। সুদসহ ফেরাতে হবে বেতনের টাকা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের তদন্তও কি সন্দেহের ঊর্ধ্বে?
১৯৯৯ সালে এসএসসি’র প্রথম আরএলএসটি দিয়ে অন্ডাল হাইস্কুলে পাশ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সুনীলকুমার ঘোষ। তবে, এডুকেশনের পিজি পোস্টে যোগ দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য ছিল। ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে স্কুল এত দূরে ছিল যে স্নাতকোত্তর স্কেলের সুযোগ পেয়েও যাওয়া হয়নি। অবশেষে ২০১৬ সালের পরীক্ষায় সেই সুযোগ পান। আর ২৫ বছরের বেশি চাকরি জীবন পার করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন তিনি। ২০০১ সাল থেকে ২৩ বছর চাকরি করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক শেখ রফিকুল ইসলাম। ইলামবাজার ব্লকের একটি স্কুলে ভূগোল পাস টিচার পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে বাড়ি থেকে বেশ দূরে হলেও, নানুরের একটি স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক পদে যোগ দেন তিনি। সম্মানের পাশাপাশি আর্থিক সুবিধার বিষয়টিও ছিল। পাকেচক্রে তিনি এমনিতেই নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ায় বেতন কম পাচ্ছিলেন। এবার পুরোটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল। ২০ হাজার টাকার হোম লোনের ইএমআই তাঁর সবচেয়ে বড় মাথাব্যাথা এখন। তাঁরই এক সহকর্মী আমিরুল ইসলাম, দৌলতাবাদের একটি মাদ্রাসায় পিজি স্কেলের চাকরি ছেড়ে যোগ দেন ইলামবাজারের স্কুলটিতে, পাস শিক্ষক হিসেবে। কারণ সেটি ছিল তাঁর বাড়ির কাছে। চরম আফশোস করছেন তিনিও। ২০০২ সালে দুর্গাপুরের একটি স্কুলে পাশ শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পরে ২০১৬ সালে ম্যাথামেটিক্স পিজি স্কেলে রানাঘাটের একটি স্কুলে সুযোগ পান পবন সোরেন। ২০২৫ সালের ৩১ মে তিনি অবসর নিতে চলেছিলেন। এই সময়ে এসে ‘অযোগ্য’দের সঙ্গে একই তালিকায় ঢুকে গেলেন তিনি।