সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
আয়কর আইন অনুযায়ী, কোনও করদাতার প্যান-আধার সংযুক্ত না-হলে আয়ের জন্য তাঁকে দ্বিগুণ হারে টিডিএস বা উৎস্যমূলে কর জমা করা উচিত। করদাতাদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত বেশকিছু অভিযোগ পেয়েছে আয়কর দপ্তর। যেমন দপ্তর থেকে নোটিস পাঠিয়ে তাঁদের বলা হচ্ছে, কোনও লেনদেনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত হারে টিডিএস জমা হয়নি। করদাতার আয় থেকে যাঁরা টিসিএস (উৎস্যমূলে কর সংগ্রহ) কেটেছেন, এই সংক্রান্ত নোটিস পাচ্ছেন তাঁরাও। নোটিসের বক্তব্য, এক্ষেত্রে করখেলাপ হয়েছে। অর্থাৎ যাঁর টিডিএস জমা হচ্ছে বা যিনি সেই টিসিএস কাটছেন, আধার ও প্যান যোগ না-থাকায় তাঁদের দ্বিগুণ আয়কর জমা করার দরকার ছিল, কিন্তু তাঁরা তা করেননি। তাঁদের বর্ধিত কর জমা করার জন্য নোটিস ধরানো হচ্ছে।
এই অভিযোগের সুরাহা করতে আয়কর দপ্তর এগিয়ে এসেছে। তারা বলছে, যেসব লেনদেন ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট লেনদেনকারীরা ৩১ মে’র মধ্যে প্যান-আধার যোগসহ প্যান সক্রিয় করবেন, তাঁদের বর্ধিত হারে টিডিএস বা টিসিএস জমা করতে হবে না। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এতে করদাতাদের অনেকটাই সুরাহা মিলবে। আধার ও প্যান সংযুক্তির জন্য তাঁরা একমাসের বেশি সময় পাবেন। এর মধ্যে তা করিয়ে নিলে তাঁদের উপর বাড়তি করের বোঝা চাপবে না।
তবে কর বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কোনও ব্যক্তির প্যান নিষ্ক্রিয় না সক্রিয়, তা বোঝার কোনও সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে যাঁর টিডিএস কাটা হচ্ছে, তাঁর কথার উপর নির্ভর করতে হয় সংশ্লিষ্ট লেনদেনকারীকে। সেখানে খামতি বা অসত্য থেকে গেলে, তার দায় চোকাতে হয় লেনদেনকারীকেই। আয়কর দপ্তরেরই উচিত এই সমস্যার নিষ্পত্তি করা।