বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অনেক দেরিতে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। তারপর একদিন কাটতে না কাটতেই পদ্ম শিবিরের অন্দরে জ্বলতে শুরু করেছে অসন্তোষের আগুন। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দাবানলে পরিণত হতে চলেছে বলে খোদ কর্মীদেরই দাবি। সাতগাছিয়া ৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি মিন্টু জানা বলেন, আমরা বিজেপির সদর দপ্তরে ইস্তফাপত্র নিয়েই এসেছিলাম। রাজ্য সভাপতি না থাকায় তা জমা করা যায়নি। প্রার্থী না পাল্টালে আগামী দু’দিনের মধ্যে গন-ইস্তফা শুরু
হয়ে যাবে। দিল্লিতেও আমাদের দাবি জানাব। রাজ্যস্তরের যেকোনও নেতা প্রার্থী হিসাবে চলবে।
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের এবার জামানত জব্দ হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার একাধিক পদাধিকারী ওই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ওই কার্যকর্তারা বলছেন, সন্ত্রাস, ভোট লুট ও পুলিস এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে তৃণমূল এই ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে জিতে আসছে। আমরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, স্বচ্ছতার সঙ্গে তৃণমূল লড়াই করে দেখাক। বিজেপির ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দীপক হালদার বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন ব্যক্তি এমন কথা বলেন কী করে? তা হলে কি এই কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়ার কোনও গোপন খেলা চলছে, যার নিয়ন্ত্রক তৃণমূল? ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এইভাবে ঘোষণা করেছিল, খেলা হবে। তারপর ভোট গণনার সময় বিরোধীদের গণনাকেন্দ্র থেকে মারধর করে যে খেলা হল, তা সকলেই জানেন। এই লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়ক দেবাংশু পান্ডা বলেন, যদি এবার মুক্ত ও অবাধ ভোট হয়, তাহলে তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেব, লড়াই কাকে বলে। কে কত ভোট পেতে পারেন, সেটা জনতাই নির্ণয় করবেন। দলের সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ব্রাত্য বসুর জানার জন্য বলি, ২০০৯ সালে বিজেপি এখানে অভিজিৎ দাসকে প্রার্থী করে। তখন বাম আমল। বিজেপির কিছুই ছিল না। প্রতীক চেনাতে উনি প্রার্থী হন। ২০১৪ সালেও তিনি প্রার্থী হন। সেবার সিপিএম পায় ৪ লাখ ৬৫ হাজার ভোট। তৃণমূল পায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার। বিজেপি পেয়েছিল ২ লাখেরও বেশি ভোট। জামানত জব্দ হয়নি কিন্তু। ২০১৯ সালে নীলাঞ্জন রায় বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ান। তিনি পান ৪ লাখ ভোট। এবার কী হতে পারে, সময়ই তার উত্তর দেবে।