গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেল সূত্রের খবর, গত দু'বছরে রাজ্যে বিভিন্ন জেলা ও মহাকুমা জুড়ে যে সমস্ত সরকারি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে অন্যান সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হয়েছে বন্দিদের হাতে তৈরি মাদুর ও বেডশিটও। কেন্দ্রীয় জেলের বন্দিরা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছে মেদিনীপুর, বর্ধমান, প্রেসিডেন্সি, দমদম, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট প্রভৃতি। এর পরের ধাপেই রয়েছে বিভিন্ন জেলা সংশোধনাগার। আগামী দিনে এই সমস্ত সামগ্রী যাতে অনলাইনে পাওয়া যায়, তারও যথাযথ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কারা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে , বন্দিদের হাতে তৈরির সামগ্ৰীর তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে। সেই তালিকায় রয়েছে সর্ষের তেল, মাসরুম, মধু, মোম, ফিনাইল, স্কুল ড্রেস, মশারি, গামছা, বাঁশের ফুলদানি, এসট্রে, বই বাঁধাই, পুরুষদের নানান পোশাক, গাছের গুঁড়ি দিয়ে নানা দ্রব্য, মহিলাদের সাজগোজের বিভিন্ন সামগ্রী প্রভৃতি। এবার পরীক্ষামূলকভাবে তাঁদের হাতে তৈরি মাদুর,বেডসিট বিক্রিতে সাফল্য মেলা তাঁরা বেজায় খুশি। ইতিমধ্যে তাঁদের হাতে তৈরি কয়েকটি সামগ্রী তৈরি করে তাঁরা প্রশংসার পাশাপাশি পুরস্কার পেয়েছেন। কারা দপ্তরের এক অফিসারের কথায়, শুধুমাত্র বন্দিরা এই সমস্ত সামগ্রী তৈরি করেই ক্ষান্ত নন। তাঁরা ছবি আঁকার পাশাপাশি নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেও তাক লাগিয়ে দেওয়ার একাধিক নজির রয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যে জেলের বাইরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সংস্কৃতিক মঞ্চে যাত্রা, নাটক, সঙ্গীত, নৃত্য মঞ্চস্থ করে বহু পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে এসেছেন।