নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: খড়্গপুরের এসডিপিও সুকোমল দাসকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, অতীতে কোনও ভোটে কোনও অফিসারকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে, ভবিষ্যতে কোনও নির্বাচনে তাঁকে কাজে লাগানো যাবে না। সুকোমল দাসকে গত লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও’র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগামী সোমবার খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। তাই কমিশনের শাস্তিপ্রাপ্ত অফিসারকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। তারপরে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখনও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থানাপাড়া থানার ওসি সুমিতকুমার ঘোষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ জানায় বিজেপি। তাদের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনী প্রচারে মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে ওই ওসিকে দেখা গিয়েছে। একটি ছবিও পোস্ট করা হয়। নির্বাচন কমিশন নদীয়ার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চায়। মহুয়া মৈত্র পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, ওই ছবি পুরনো। এখনও পর্যন্ত ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।
আগামী সোমবারের তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য সোমবার তিন জেলাশাসককে নির্দেশ পাঠান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ নেন আরিজ আফতাব। সেই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছাপানো, ইভিএম প্রস্তুত রাখা, বুথের পরিকাঠামো তৈরি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে— সেসব সম্পর্কে ভিডিও কনফারেন্সে জানতে চান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সেই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, নির্বিঘ্নে ভোট করতে হবে। জেলাশাসকরা জানান, ২৪ নভেম্বর রবিবার একটি চাকরির পরীক্ষা আছে। ফোর্সের ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। তার জবাবে অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, পরীক্ষার জন্য আলাদা ফোর্স দেওয়া হবে। ভোটের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তাদের দিয়ে রুট মার্চ করানো চলছে। ভোটের জন্য কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিস থাকবে, তা কেন্দ্রেরই হোক বা রাজ্যের। তিনটি বিধানসভা মিলিয়ে ৮০১টি বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে কত সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, তা দু-একদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন।