উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টা করছে বলে দু’দিন আগে মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা গতকাল সরব হন ওয়াইসি। কিন্তু আজ রাজ্যের সম্প্রীতির কথা মাথায় রেখে ওয়াইসির সমালোচনা করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেন, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তো বাংলায় গিয়ে সংখ্যালঘুদের সারল্যের সুযোগ নিয়ে আদতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে চাইছেন। সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করতে চাইছেন। তা আমরা হতে দেব না। বহরমপুরের কংগ্রেস এমপি আরও বলেন, ‘দিদি তো ঠিকই বলেছেন। ওয়াইসির দলকে তো সবাই ছাপ্পা মারা সাম্প্রদায়িক বলেই জানে।’
একপ্রকার আচমকা এভাবে তৃণমূলনেত্রীর পাশে দাঁড়ানোয় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে বিজেপিকে ঠেকাতে তবে কি কোনওভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হবে? যদিও জল্পনা উড়িয়ে অধীরবাবু বলেছেন, ওসব তো কংগ্রেস হাইকমান্ড সিদ্ধান্ত নেবে। আমি বলার কে? উপনির্বাচনেই তো আমাদের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। এটুকু বলতে পারি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই জারি থাকবে। কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নের প্রশ্নে দিদির ডাকে আমি খুবই খুশি।
তিনি বলেন, এর আগে মুর্শিদাবাদ জেলা তথা রাজ্যের উন্নয়নের প্রসঙ্গে কথা বলতে চেয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সময় দেননি। নবান্ন থেকে কোনও চিঠিও পাইনি। কিন্তু এখন আচমকাই প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেলাম। প্রথমটা কিছুটা বিষ্মিত হলেও খুশি হয়েছি। জেলার এমপি হিসেবে আমাকে যেমন ডাকা হয়েছে, একইভাবে বিধায়কদেরও ডাকা হোক। তৃণমূলনেত্রী হিসেবে দিদির রাজনৈতিক পরিচয় হলেও আদতে তিনি গোটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই উন্নয়নের প্রশ্নে রাজনৈতিক রং না দেখাই উচিত। মন্তব্য অধীরবাবুর।
এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ‘দিশা’ কমিটির বৈঠক ডাকা হয় না বলে বার বার রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন অধীরবাবু। বিষয়টি নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে নালিশ জানানোর পাশাপাশি সংসদেও সরব হয়েছেন তিনি। দিশা কমিটি না হলেও আচমকাই মুর্শিদাবাদে আজ প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পান অধীরবাবু। জেলাশাসক চিঠি দিয়ে জানান, ‘২০ নভেম্বর দুপুর তিনটের সময় বহরমপুরের রবীন্দ্র সদনে মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। আপনাকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছি।’ অধীরবাবু বলেন, ১৮ নভেম্বরের চিঠি হলেও গতকাল রাতে তা পেয়েছি। তাই যাওয়া সম্ভব হল না। সংসদের অধিবেশনও চলছে। তবে ভবিষ্যতে আগাম আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই যাব। জেলাশাসককে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছি।