বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পারিবারিক বিবাদের জেরে দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল। শোভন নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলত্যাগের পর তেমনই দাবি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছেন, শোভনের স্ত্রী রত্নাকে সাংগঠনিক কাজে আরও সক্রিয় করতে সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই শোভন নির্বাচিত হয়ে এসেছেন বহুবার। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ওই ওয়ার্ডে রত্নাকে দলের হয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। তার জের টেনেই তৃণমূল নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে শোভন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রত্নাকে হারিয়ে দেখান। শোভন বলেছিলেন, বিজেপি তাঁকে অনুমতি দিলে তিনি মমতার বিরুদ্ধে ভোটে লড়তে চান। সদ্য দল ছেড়ে যাওয়া শোভনের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোট পেশাদার প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূলের ঠিকাদার বলে দাবি করেছেন শোভন। বেহালার এক শীর্ষনেতার মতে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বহু আগে থেকেই শোভনকে গুরুত্ব দিয়েছেন নেত্রী। তাঁর সামান্যতম কৃতজ্ঞতা বোধ থাকলে তিনি ওই সব মন্তব্য করতেন না।
শোভনকে দলে রাখতে শেষ চেষ্টা করেছিলেন পার্থবাবু। তাঁর গোলপার্কের ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখাও করেন তিনি। এদিন বিধানসভায় প্রাক্তন মেয়রের দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থবাবু বলেন, কেউ দল ছাড়লে তাতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হয় না। এমনকী তিনিও যদি দল ছাড়েন, তাতেও কিছু এসে যাবে না। দলে সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লতায় পাতায় জড়িয়ে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর মতে, যত দিন মমতা সক্রিয় থাকবেন, ততদিন কে এল বা গেল, তাতে কিছু যায় আসে না। রাজনৈতিক কারণে শোভনকে আক্রমণ করলেও তাঁর সদ্য প্রাক্তন সতীর্থের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিষদীয় মন্ত্রী। তাঁর সন্দেহ, মানসিক চাপে রয়েছে বলেই হয়তো নেত্রীকে জড়িয়ে নানা কথা বলছে ও। পার্থবাবুর দাবি, এটা মোটেই সুস্থতার লক্ষণ নয়। তাই ওর শারীরিক কুশল কামনা করছি। প্রসঙ্গত, শোভন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এদিনই প্রথম দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল। বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক শোভনের বিরুদ্ধে কি আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনের প্রাক্কালে দলত্যাগ রোধ আইন অনুসারে দল ব্যবস্থা নেবে? পার্থবাবু বলেন, অন্যদের ক্ষেত্রে যেমন হয়, তেমনই শোভনের কাছেও জানতে চাওয়া হবে। কিন্তু তা কবে হবে, সেই বিষয়ে এদিন খোলসা করেননি পরিষদীয়মন্ত্রী। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া বিধানসভা অধিবেশনে শোভন যোগ দেন কি না, এখন সেটাই দেখার।
এদিকে, বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনেও গরহাজির ছিলেন প্রাক্তন মেয়র। মেয়র পদ ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে কোনও অধিবেশনেই তাঁকে দেখা যায়নি।