বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গল মহল এলাকায় গ্রাহকদের মাসে মাথাপিছু ৮ কেজি করে চাল, আর ৩ কেজি আটা দেওয়া হয়। আর জঙ্গলমহল বাদে রাজ্যের সর্বত্র গ্রাহকদের মাসে মাথাপিছু ২ কেজি করে চাল আর ৩ কেজি আটা দেওয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে ভাগ করে চারবারে এই রেশন গ্রাহকদের সরবরাহ করা হয়। ফলে, রেশন নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি সপ্তাহে রেশন দোকানে যেতে হয়। এতদিন গ্রাহকরা রেশন দোকানে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন তুলতেন। এতদিন গ্রাহকরা চাইলে একসঙ্গে দু’সপ্তাহের রেশন তুলতে পারতেন। সরকারি নির্দেশিকাও ছিল। কিন্তু, একসঙ্গে একমাসের রেশন পাওয়া যেত না। ফলে, রেশনের জন্য গ্রাহকদের বারবার রেশন দোকানে ছুটতে হতো। গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেক সময় ডিলাররা অতিরিক্ত রেশন মজুত নেই বলে সরকারি নিয়ম থাকার পরেও দু’সপ্তাহের রেশন একসঙ্গে দিতে চাইতেন না। ফলে, নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম মানা হতো না। গ্রাহকদের রেশন নেওয়ার জন্য দোকানে বারবার দৌড়াতে হতো। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, মাসে যে কোনও দিন রেশন দোকানে গিয়ে একবারে রেশন তোলা যাবে।
যদিও নতুন নিয়ম কার্যকরী কতটা হবে, তা নিয়ে গ্রাহকরা এখন থেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অন্যান্য জেলার মতো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই নির্দেশিকা এসেছে। খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আশা করছি, সামনের মাস থেকেই ওই নির্দেশিকা মেনে রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের রেশন দেবেন। সেই মতো জেলার রেশন ডিলারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ম কার্যকরী হলে রেশন দোকানে প্রতি সপ্তাহে ভিড় হবে না। রেশন দোকানে পরিষেবা অনেক উন্নত হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এম আর ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পথিক মল্লিক বলেন, সরকারি নির্দেশ আমরা পেয়েছি। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই এই নির্দেশ মেনে জেলার সব ডিলারদের রেশন দিতে হবে। এতে পরিষেবা অনেক উন্নত হবে। তবে, গ্রাহকরা চাইলে আমরা একসঙ্গে একমাসের চাল দিতে পারব। কিন্তু, এক মাসের আটা আমরা দিতে পারব না। কারণ, আমাদের কাছে এক সপ্তাহের আটা মজুত থাকে। এক মাসের আটা মজুত থাকলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতি সপ্তাহের আগাম এক সপ্তাহের আটা মজুত করা হয়। গ্রাহকরা চাইলে এক মাসের চাল একবারে তুলতে পারবেন। কিন্তু, প্রতি সপ্তাহে এসে তাঁকে আটা নিয়ে যেতে হবে।