বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
স্ক্যান হয়ে গেলে ফাইল হারানোর আশঙ্কা থাকবে না। এখন পুরনো ফাইল হারিয়ে গেলে সরকারি কাজে সমস্যা হয়। নানা কারণে অনেক সময় ইচ্ছা করে ফাইল হারিয়ে ফেলা হয় এমন অভিযোগও ওঠে। সব ফাইল স্ক্যান হয়ে গেলে সেই সুযোগ আর থাকবে না। পুরোপুরি ই-ফাইলিং চালু হলে কম্পিউটারের মাধ্যমেই ফাইলের কাজ হবে। নতুন ‘খাদ্যশ্রী’ ভবন চালু হওয়ার পর কম্পিউটার ব্যবহারে জোর দেওয়া হবে। সেখানে বসেই জেলাগুলির কাজকর্মে নজরদারি চালানো যাবে। সব কর্মীর কাছেই কম্পিউটার থাকবে। খাদ্য দপ্তরের যে কর্মীরা নতুন ভবনে কাজ করবেন, তাঁদের বায়োমেট্রিক হাজিরা ব্যবস্থা চালু হবে। পুরনো খাদ্য ভবনে যে কর্মীরা থাকবেন, তাঁদের হাজিরাও খুব শীঘ্রই বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় হবে। জেলার অফিসগুলিতেও বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করা হচ্ছে।
শুক্রবার নবান্ন থেকে খাদ্যশ্রী ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন ভবনে খাদ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি ছোট অনুষ্ঠান করা হয়। দপ্তর সূত্রের খবর, প্রায় ৫৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে সাত তলা ওই নতুন ভবনটি তৈরি করতে। পাঁচ বছর ধরে এটি তৈরি হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়ে। রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্র বসছে। রেশনে সমস্ত বেচা-কেনা এবার কম্পিউটারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে। নতুন ভবনে এর জন্য সার্ভার বসানো হবে। পুরনো খাদ্য ভবনে দপ্তরের ল্যাবরেটরির সম্প্রসারণ করা হবে। খাদ্য সামগ্রী পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবরেটরি ঢেলে সাজাচ্ছে দপ্তর। সচিবালয়ের নতুন ভবন ছাড়াও সব জেলা ও মহকুমায় খাদ্য দপ্তরের নিজস্ব ভবন তৈরি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় রেশন অফিসগুলিও ভাড়া বাড়ি থেকে নিজস্ব বাড়িতে সরিয়ে আনছে দপ্তর।