বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ আগস্ট রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব দিব্যেন্দু সরকার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তাতে বলা হয়েছে, ১০০দিনের কাজের গুণগত মান পরিদর্শনের জন্য অভিজ্ঞ ও অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করা হবে। যারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১০০দিনের কজের প্রকল্পে চলা বিভিন্ন স্কিমের গুণগত মান পরিদর্শন করবেন। এছাড়া কোথাও ১০০দিনের কাজ রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোনও অনিয়মের অভিযোগ এলে তাঁরা পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্তও করবেন। দপ্তরের যখন প্রয়োজন হবে তখন তাঁদের ব্যবহার করা হবে। এলাকায় গিয়ে এই কাজ করার জন্য মাসে কমপক্ষে তাঁদের সাত দিন সময় দিতে হবে। এলাকায় গিয়ে এইসব কাজ খতিয়ে দেখার জন্য প্রতিদিন তাঁদের চার হাজার টাকা দেওয়া হবে। যে জেলায় তদন্তের কাজ হবে, সেই জেলার তরফে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও কর্মী (লজিস্টিকস সাপোর্ট) দেওয়া হবে। এছাড়া বাইরে গিয়ে এই ধরনের কাজ করার জন্য যাতায়াতের খরচও দেবে রাজ্য সরকার।
অ্যাসাইনমেন্ট পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট রাজ্য এমজিএনআরজিএ সেলে জমা দিতে হবে। আগ্রহী অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের ২৬ আগস্টের মধ্যে বায়োডেটা জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিবকে অ্যাড্রেস করে সিভি ও আবেদনপত্র পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে রাজ্যের জেলাগুলিকে মোট তিনটি জোনে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ জোনে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ও জিটিএ’কে (দার্জিলিং পাহাড় ও কালিম্পং) রাখা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল জোনে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূমকে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ জোনে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদকে রাখা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ইঞ্জিনিয়াররা আবেদন করার সময় পছন্দের কোন জোনে কাজ করতে চান, তা উল্লেখ করতে পারবেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে ১০০দিনের কাজে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সিংহভাগ ক্ষেত্রে তা জেলা বা ব্লক স্তরের প্রশাসনিক টিম তদন্ত করত। বিভিন্ন ধরনেরর চাপের সামনে ওই টিম সিংহভাগ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারত না বলে অভিযোগ। ফলে ১০০দিনের প্রকল্পে দেদার টাকা লুটের অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১০০দিনের কাজের প্রকল্পের সমস্ত এস্টিমেট ‘সিকিওর’ সফটওয়ারের মাধ্যমে তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার প্রতিটি প্রকল্প খতিয়ে দেখা ও দুর্নীতির তদন্ত করতে অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের নতুন টিম গঠন করা হল।