বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন চিন্ময়বাবু। তাঁকে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং তারপর কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুর এবং রাতে পর্যায়ক্রমে দু’বার স্বাস্থ্যভবনের টিম খতিয়ে দেখার পর চিন্ময়বাবুর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা করে। তারপর শুরু হয় অঙ্গদানের প্রক্রিয়া। একাধিকবার গ্রিন করিডরও করা হয়।
রোগীর পরিজনের বক্তব্য, এক, মস্তিষ্কের মৃত্যুর পর অঙ্গদানে উৎসাহ বাড়াতে সরকারের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত। বেসরকারি হাসপাতালগুলি এক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করছে কি না, তা দেখতে নজরদারি থাকা উচিত। দুই, অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সরকারি কাজকর্ম এবং নিয়মকানুন পালনে দীর্ঘসূত্রিতা থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে বাড়ির ছেলের অঙ্গদান করার উদ্যোগ নিয়ে সহযোগিতা তাঁরা কমই পেয়েছেন। বরং মৃত্যুর পর দেরি হওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল বাড়িয়ে গিয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, চিন্ময়বাবুর কিডনি পিজি’র যে রোগী পেলেন, তার নাম রোমাকুমারি ধানু। বয়স ১৯। ঠিকানা মোমিনপুরের ১২/১, ময়ূরভঞ্জ রোড। এপ্রিল মাস থেকে কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। টানা বমিও হচ্ছিল। অন্যদিকে চিন্ময়বাবুর লিভার দান করা হয়েছে পিজি’রই রোগী বিধান অধিকারীকে। ৫৪ বছর বয়সি বিধানবাবুর বাড়ি বনগাঁ। হার্ট পেলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী সুরজিৎ পাত্র। বয়স ২৫। ডানকুনির বীরপুরের বাসিন্দা তিনি।
এ বিষয়ে এদিন রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ের নোডাল অফিসার বিশেষ সচিব ডাঃ তমালকান্তি ঘোষ বলেন, মস্তিষ্কের মৃত্যুর পরও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনে রক্ত দেওয়ার দরকার পড়ে। সেক্ষেত্রে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছিলাম, ওদের কাছ থেকে টাকা না নিতে। সেই বিল আমাদের অর্থাৎ রোটোকে পাঠিয়ে দিতে। যদি নিয়ে থাকে, সেটা ঠিক হয়নি।