আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে তৃণমূলের ফল সব চেয়ে খারাপ হয়েছে। দুই দিনাজপুর ও মালদহে তৃণমূল খাতা খুলতে না পারলেও একদা কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত মুর্শিদাবাদে তিনটির মধ্যে দুটি আসন পেয়েছে তৃণমূল। বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের বিচারে ২২টির মধ্যে ১৭টিতে প্রতিপক্ষের চেয়ে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। তৃণমূলের জন্মলগ্নের পর থেকে মুর্শিদাবাদে এই প্রথম বড়সড় সাফল্য পেয়েছে তারা। স্বভাবতই, ওই জেলার ভূমিকায় খুশি তৃণমূল নেত্রী সেখানকার নেতৃত্বকে অভিনন্দিত করেছেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ সহ সব জেলাকেই গোষ্ঠী বিবাদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছেন। এই ঐক্যের প্রশ্নে কেউ যদি প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বলে মনে হয়, তাহলে তা নিয়ে সরাসরি তাঁকেই যেন জানানো হয় বলে এদিন বৈঠকে উপস্থিত দলীয় প্রতিনিধিদের বলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রাথমিক পর্যালোচনার পরেই মমতা বলেছিলেন, এখন থেকে দলের প্রাত্যহিক কাজে তিনি বেশি বেশি করে সময় দেবেন। এদিন দল গঠন থেকে বিভিন্ন আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন তিনি। আরও আন্দোলনমুখী সংগঠন তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন। সেক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হলে তা তাঁকে জানালে তিনিই হস্তক্ষেপ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা। তবে, দলকে প্রশাসনের মুখাপেক্ষী হতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, সংগঠন নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কোনও মতেই প্রশাসনের উপর নির্ভর করা চলবে না। উল্লেখ্য, অন্যান্য জেলাকে নিয়েও পর্যলোচনা বৈঠকে সাংগঠনিক ত্রুটি চিহ্নিত করতে গিয়ে এই প্রশাসন নির্ভরতার কথা তুলেছেন মমতা। এদিনও একইভাবে চার জেলার নেতৃত্বকে সেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। জনসংযাগ বাড়ানোকেই দলের শক্তি পুনুরুদ্ধারে সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন মমতা। এদিন জেলা নেতাদের সে ব্যপারে পরিকল্পনা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকলে অবিলম্বে তা মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চার জেলাতেই দলীয় বিধায়কদের সংগঠন দেখতে বলা হয়েছে। যেখানে দলের বিধায়ক নেই বা অন্য দলে চলে গিয়েছেন, সেখানে সংগঠনের দায়িত্বে থাকবেন জেলা চেয়ারম্যান। লোকসভা ভোটে ফল যাই হোক না কেন, বিধানসভায় তার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মমতা মনে করেন। তিনি বলেন, সংগঠন ঠিক করো। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।