বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মঙ্গলবার বিধানসভায় শ্রমমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন। তিনি অবশ্য এদিন অনুপস্থিতি ছিলেন সেই সময়। তবে তারকা চিহ্নিত সেই প্রশ্নের জবাব লিখিতভাবেই দিয়েছেন মলয়বাবু। সেই জবাবের কপি বাম পরিষদীয় দলের অফিসে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ ও এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে মোট নথিভুক্ত বেকারের সংখ্যা জানতে চেয়ে আমজাদ হোসেন লিখিত প্রশ্ন করেন। সেই সঙ্গে কতজন বছরে বেকার ভাতা পান, তাও জানতে চান তিনি।
জবাবে মলয়বাবু জানিয়েছেন, আগে রাজ্যে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জগুলিতে কর্মপ্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করা হতো। কিন্তু ভারত সরকারের কর্মসংস্থান মহানির্দেশক ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এখন আর এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে কর্মপ্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১২ সালের ২৬ জুলাই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে কর্মপ্রার্থীদের নথিভুক্তিকরণ সেখানেই করা হয়। এ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত সেখানে মোট নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থীর সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৬৯ হাজার ১১১ জন। মুখ্যমন্ত্রী ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে যুবশ্রী ভাতা চালু করেন। বছরে এখন এক লক্ষ নথিভুক্ত কর্মপ্রার্থী ওই ভাতা পান।
শ্রমমন্ত্রীর এই জবাবে ফুঁসে উঠেছে বাম পরিষদীয় দল। দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, দেড় হাজার টাকা করে বছরে মাত্র এক লক্ষ বেকারকে এই ভাতা দেয় সরকার। কিন্তু সিংহভাগ নথিভুক্ত বেকারই এই ন্যূনতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা, মুখ্যমন্ত্রী কোটি কোটি বেকারের চাকরি হয়েছে বলে অহরহ দাবি করে আসছেন। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ছবি কিন্তু সে কথা বলছে না।