বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পূর্ব উলুবেড়িয়া কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসা ইদ্রিশ আলি ‘জয় হিন্দ’ বলার জন্য অবশ্য পরে অধ্যক্ষের কাছে মার্জনা চেয়ে নেন। কিন্তু বিজেপির হবিবপুর কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিধায়ক জোয়েল মুর্মু তাঁর কৃতকর্মের জন্য তেমন অনুতাপ করেননি। তিনি এবং দলের সম্ভাব্য পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গা লবিতে দাঁড়িয়ে বলেন, আমরা যে রাজনীতি করে বড় হয়েছি, তাতে ‘জয় শ্রীরাম’ শব্দ দুটি মন থেকেই মুখে এসে যায়। এজন্য কোনও স্থান-কাল-পাত্রের প্রয়োজন হয় না। আমরা যদি ভগবান বা আল্লার নামে শপথ নিতে পারি, তাহলে মূল বাক্য পাঠের পর ‘জয় শ্রীরাম’ বলার মধ্যে মহাভারত অশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপার আছে বলে মনে করি না। অধ্যক্ষ হয়তো অন্য কোনও বিশেষ কারণে এই ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছিলেন। তবে এবার বাদল অধিবেশনে সরকারপক্ষকে সদনকক্ষে অনেকবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনতে হবে। সে জন্য তারা যেন প্রস্তুত থাকে।
এদিন জোয়েল মুর্মু ছাড়াও বিজেপির নীরজ তামাং জিম্বা (দার্জিলিং), আশিস বিশ্বাস (কৃষ্ণগঞ্জ) এবং পবনকুমার সিং (ভাটপাড়া) শপথ নেন বিধায়ক হিসেবে। একইভাবে শপথ নেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (ইসলামপুর), সাহিনা মমতাজ বেগম (নওদা) এবং ইদ্রিশ আলি। কংগ্রেসের তরফে শপথ নেন কান্দি বিধানসভা থেকে নির্বাচিত সফিউল আলম। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সংবিধানের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত শপথবাক্য ছাড়া বাড়তি কোনও শব্দ কেউ বলবেন না। অন্যথায় অনুষ্ঠান মাঝপথে স্থগিত করতে বাধ্য হতে হবে। এরপরও মাঝপথে প্রথম তাল কাটেন জোয়েল মুর্মু। শপথবাক্য পাঠের পর তিনি বলেন, সবাইকে জানাই ‘জয় শ্রীরাম’। একথা বলা মাত্রই শপথগ্রহণ কক্ষ তথা নৌসাদ হলে উপস্থিত সকলের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে। বিরক্ত অধ্যক্ষ, পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান পরস্পরের মধ্যে মুখ চাওয়া-চায়ি করতে থাকেন। বিরক্ত অধ্যক্ষ তারপর ফের বাড়তি বাক্য বা শব্দ ব্যবহার না করার জন্য কড়া সুরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু শেষ ব্যক্তি হিসেবে ফের তাল কাটেন ইদ্রিশ। শপথবাক্য পাঠের শেষে তিনি ‘জয় হিন্দ’ বলতেই ফের ফিসফাস শুরু হয়। এবার অবশ্য অধ্যক্ষ দাঁড়িয়ে উঠে মাইক ধরেই ইদ্রিশকে ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, আপনাদের বারবার বলার পরও কেন বাড়তি শব্দ ব্যবহার করলেন? এটা ঠিক করলেন না আপনি। যাইহোক, সংশ্লিষ্ট দুই বিধায়কের বাড়তি শব্দ নথিভুক্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি। জোয়েল-ইদ্রিশের ভূমিকার নিন্দা করে অধ্যক্ষের এই পদক্ষেপকে অবশ্য সমর্থন জানিয়েছেন মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।